ঝাড়গ্রাম

সরকারি জমি দখল করে বাড়িঘর, প্রহসনে পরিণত সতর্কবাণী

সরকারি জমি দখল করে বাড়িঘর, প্রহসনে পরিণত সতর্কবাণী

স্বপ্নীল মজুমদার, ঝাড়গ্রাম: জেলা প্রশাসনের দেওয়া নোটিস বোর্ডে লেখা আছে, ‘সরকারি জমিতে কোনও রকম জবরদখল করা যাবে না। জবরদখল করলে আইনি পদক্ষেপ করা হবে।’ অথচ ঝাড়গ্রাম শহরের একলব্য সরণির ধারে সত্যবানপল্লীর বিস্তীর্ণ সরকারি জমি দখল হয়ে তৈরি হয়ে গিয়েছে বাড়ি-ঘর। পুরসভার নো-অবজেকশন পেয়ে কয়েকটি বাড়িতে বিদ্যুতের সংযোগও দেওয়া হয়েছে।

অথচ ওই জমিতেই ওই জমিতেই ঝাড়গ্রামের নতুন পুরভবন, সরকারি সাংস্কৃতিক কলাকেন্দ্র, প্রশাসনিক বিভিন্ন দফতরের ভবন তৈরি হওয়ার কথা। আগামী বুধবার মুখ্যমন্ত্রীর ঝাড়গ্রামে আসছেন প্রশাসনিক বৈঠক করতে। এ বিষয়ে তিনি কী সিদ্ধান্ত নেন সে দিকেই তাকিয়ে রয়েছেন জেলা তৃণমূলের নেতৃত্ব।

আরও পড়ুন: নির্বাচনে বাংলায় কটা আসন পাবে বিজেপি? জানালেন খাদ্যমন্ত্রী

জেলা তৃণমূলের এক নেতা বলেন, ‘‘পুরো সরকারি জমিটা বেহাত হয়ে গিয়েছে। জমি পুনরুদ্ধার করার জন্য প্রশাসনিকস্তরে কোনও উদ্যোগই নেওয়া হচ্ছে না।’’

অভিযোগ, একশ্রেণির জমি মাফিয়ারা সরকারি জমিতে টাকার বিনিময়ে লোক বসিয়ে দিচ্ছে। দূর দূরান্ত থেকে রুজির খোঁজে শহরে আসা লোকজনকে টাকার বিনিময়ে সরকারি জমিতে বসিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ঝাড়গ্রাম শহরের একলব্য স্কুল ও রামকৃষ্ণ মিশন লাগোয়া রাস্তাটির ধারে সরকারি ও রায়তি দু’ধরনের জমি রয়েছে।

দখল হচ্ছে সরকারি জমি। ওই সব জমিতে মাটি অথবা ইটের বাড়ি তৈরি করে বসবাসও শুরু করেছেন লোকজন। সব দেখে শুনে লোকজন বলছেন, সরকারি নোটিস বোর্ডটি প্রহসনে পরিণত হয়েছে!

 

আরও পড়ুন ::

Back to top button