ঝাড়গ্রাম

অবৈধ মোরাম-গাড়ি আটকালেন জেলার ভূমি কর্মাধ্যক্ষ মামনি মুর্মু

অবৈধ মোরাম-গাড়ি আটকালেন জেলার ভূমি কর্মাধ্যক্ষ মামনি মুর্মু

স্বপ্নীল মজুমদার, ঝাড়গ্রাম: ঝাড়গ্রাম জেলায় অবৈধ মোরাম চক্রের পর্দা-ফাঁস করলেন জেলা পরিষদের ভূমি কর্মাধ্যক্ষ মামনি মুর্মু। রবিবার রাতে ঝাড়গ্রাম ব্লকের রাধানগর গ্রাম পঞ্চায়েতের জারালাটা গ্রামে অবৈধ খাদান থেকে মোরাম তুলে লরিতে পাচার হওয়ার সময়ে হাতেনাতে ধরলেন মামনি।

ভূমি কর্মাধ্যক্ষের তৎপরতায় তিনটি মোরাম ভর্তি লরি ও একটি খালি লরি আটক করা হয়েছে। ধরা পড়েছেন লরিগুলির চারজন চালক। এ ছাড়াও মোরাম খোঁড়ার সরঞ্জাম ও একটি মোটরবাইকও আটক করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী জেলায় প্রশাসনিক সভা করতে আসার আগে এমন ঘটনা তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

কারণ, ঝাড়গ্রাম জেলায় সরকারি অনুমোদিত কোনও মোরাম খাদান নেই। জেলায় মোরাম পরিবহণ করার অনুমতিও দেওয়া হয় না। তারপরেও ঝাড়গ্রাম শহরের অদূরে এমন ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে প্রশাসনিক মহলে।

আরও পড়ুন : পশ্চিমবঙ্গে বিহার, উত্তরপ্রদেশের মতো মাফিয়ারাজ চলছে’: দিলীপ ঘোষ

সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে প্রতিদিনই বেআইনি ভাবে মোরাম পাচার হয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ। মামনি জানালেন, রবিবার রাতে গোপন সূত্রে তিনি খবর পান যে, বেআইনি ভাবে মোরাম তোলা হচ্ছে জারালাটা এলাকায়। এরপরেই রাতে তিনি সেখানে পৌঁছে গিয়ে লরিগুলিকে হাতে নাতে ধরেন।

মামনি জানালেন, জেলাশাসক তাঁকে মোরাম ভর্তি লরিগুলি পুলিশের হাতে তুলে দিতে বলেন। কিন্তু আগের অভিজ্ঞতায় মামনি দেখেছেন, ধরা পড়া মোরাম-গাড়িগুলিকে জরিমানা না করেই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তাই এবার তিনি লিখিতভাবে গাড়ি গুলি পুলিশকে হস্তান্তর করতে চান।

এই নিয়ে গৱীর রাত পর্যন্ত জটিলতা চলতে থাকে। শেষে ঝাড়গ্রাম থানার আইসি উপযুক্ত মৌখিক প্রতিশ্রুতি দিয়ে মোরাম গাড়িগুলি নিয়ে যান। মামনি বলেন, ‘‘জেলায় মোরাম তো‌লা ও পরিবহণ নিষিদ্ধ থাকলেও সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে বেআইনিভাবে মোরাম পাচার করা হচ্ছে। এটা বন্ধ করার জন্য খবর পেলেই অভিযান চালিয়ে হাতে নাতে ধরব।’’

আরও পড়ুন ::

Back to top button