রাজনীতিরাজ্য

“যতদিন না এদের শিকড় থেকে উপড়ে ফেলব ততদিন পশ্চিমবঙ্গে উন্নয়ন হবে না”: দিলীপ ঘোষ

"যতদিন না এদের শিকড় থেকে উপড়ে ফেলব ততদিন পশ্চিমবঙ্গে উন্নয়ন হবে না": দিলীপ ঘোষ

রাজ্যর বিরুদ্ধে ফের সুর চড়া করলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। তিনি জানিয়েছেন, যতদিন না এদের শিকড় থেকে উপড়ে ফেলব ততদিন পশ্চিমবঙ্গে উন্নয়ন হবে না। যে সমস্ত মা-বোনেরা এখানে সভায় এসেছেন তাদের বলি ২০১১ সালে রোদ্দুরে দাঁড়িয়ে ভোট দিয়েছিলেন, পরিবর্তন চাই ছিলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ্যমন্ত্রী হবে।

ক্ষমতায় এসে পাড়ায়-পাড়ায় মেয়েদের ধর্ষণ হচ্ছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন দুষ্টু ছেলেদের কাজ, এত দুষ্টু হয়েছে টিএমসির সব ছেলে দুষ্টু হয়ে গেছে। এই কথা বললেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি আরো বলেন এবারের নির্বাচনে তৃণমূল কে বিদায় করবেন। আম্ফানের টাকা মেরে দিয়েছে, যে টাকা মানুষের কাজে লাগবে সেখানে টাকা দেননি মুখ্যমন্ত্রী।

তৃণমূলের নেতাদের কি হয়েছে, আগে কেমন ছিল এখন কেমন জীবন যাপন করছে, আগে কি ধরনের বাড়িতে থাকতো, এখন দোতলা তিনতলা বাড়ি করেছে, নীল সাদা রং করেছে, আগের দোকানে চা খেতে পারত না, এখন লোক ডেকে বলছে স্পেশাল চা খেয়ে যা, বিড়ির বদলে সিগারেট খাচ্ছে, এসব কাদের টাকা গরিব মানুষের টাকা।

আরও পড়ুন: বিজেপি নেতা মণীশ খুনে উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি, জানুন আদ্যোপান্ত

রাস্তার টাকা, উন্নয়নের টাকা, ১০০ দিনের কাজের টাকা, মোদীজি টাকা পাঠাচ্ছে আর তৃণমূলের লোকেরা টাকা ঝেড়ে দিচ্ছে। ৫ টাকা আলু ৩৫ টাকায় বিক্রি হয়। গরিব কৃষক সমস্ত জিনিসপত্র কিনে চাষ করে সে ৫ টাকায় বিক্রি করে আর দালালরা ৫ টাকায় কিনে নিয়ে এসে ৩৫ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি করছে।

সেই টাকার একটা অংশ তৃণমূলের কাছে চলে যাচ্ছে নির্বাচন করার জন্য। বাংলার কৃষকরা পয়সা পাচ্ছে না। মোদীজি আইন করেছেন কৃষকরা যাতে দাম পায় সেটা দেখো। আমপান ঘূর্ণিঝড়ের পর প্রধানমন্ত্রী ১০০০ কোটি টাকা দিয়েছিলেন মানুষেরা পাননি। তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিরা তাদের ঘনিষ্ঠদের টাকা দিয়ে দিয়েছেন।

তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য ও জেলা পরিষদ সদস্য, পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য, ব্লকের নেতাদের নিয়েও তিনি কটাক্ষ করেন। তিনি বলেন, তাদের ঘরে ত্রিপল সমস্ত রাখা রয়েছে, কেউ বিক্রি করছে, কেউ ভোটের সময় মানুষকে দিয়ে বলবে ভোটটা দিবি। এক দলীয় সভায় এইভাবে রাজ্যকে আক্রমণ করে এই বললেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

 

সুত্র: প্রথম কলকাতা

আরও পড়ুন ::

Back to top button