ঝাড়গ্রামে প্রশাসনিক বৈঠক সেরে চিল্কিগড়ের কনকদুর্গা মন্দিরে মুখ্যমন্ত্রী
স্বপ্নীল মজুমদার, ঝাড়গ্রাম: ঝাড়গ্রাম জেলার জন্য তিনি বরাবরই উপুড়হস্ত। অনেক দিয়েছেন। আরও দিলেন। বিধানসভা ভোটের আগে ঝাড়গ্রামবাসীর প্রত্যাশা পূরণে এবারও কল্পতরু হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার ঝাড়গ্রাম স্টেডিয়ামের প্রশাসনিক বৈঠক থেকে একগুচ্ছ প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন।
বিভিন্ন পরিষেবাও তুলে দিলেন উপভোক্তাদের হাতে। এদিন জুনিয়র কনস্টেবলদের হাতে নিয়োগপত্র, মাওবাদী সন্ত্রাসে নিহত পরিবারের সদস্যদের চার লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ, চাকরির নিয়োগপত্র, হাতির হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের হাতে কাজের নিয়োগপত্র তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী।
পশ্চিমবঙ্গ সাঁওতালি অ্যাকাডেমির জন্য ১ কোটি টাকা অনুদান দিলেন। এছাড়াও গুপ্তমণি মন্দির ও চিল্কিগড়ের কনকদুর্গা মন্দিরের সংস্কার ও পরিকাঠামো উন্নয়নে জন্য সব মিলিয়ে আড়াই কোটি টাকা বরাদ্দের ঘোষণা করলেন তিনি।
নয়াগ্রামের রামেশ্বর মন্দিরের জন্য অর্থ বরাদ্দ, ঝাড়গ্রাম উড়াল পুলের সার্ভিস রোডের জন্য ৭৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দের ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। পর্যটন প্রসারে কাঁকড়াঝোরের একটি হোম স্টে-র জন্যও শংসাপত্র তুলে দেন কর্তৃপক্ষের হাতে।
আরও পড়ুন: কাল নবান্ন অভিযান বিজেপির, ২ দিনের জন্য বন্ধ নবান্ন!
এছাড়াও ২১ টি প্রকল্পের শিলান্যাসও করেন। প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বকেয়া কাজ দ্রুত শেষ করে ফেলার নির্দেশ দেন প্রশাসনের আধিকারিক ও দলের জনপ্রতিনিধিদের। আদিবাসী উন্নয়নের পাশাপাশি, কাজে নদরদারি করতে বলেন জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারকে।
মিলে মিশে সবাইকে উন্নয়নের কাজ এগিয়ে নিয়ে যেতে বলেন। পাশাপাশি, বিজেপি-র নাম না করে লোকসভা ভোটে টাকার এলাকা দখলের অভিযোগ করে মুখ্যমন্ত্রী জানান, জঙ্গলমহলে অনেক রক্ত ও অশান্তি সহ্য করেছে। বহু চেষ্টার ফলে আজ ঝাড়গ্রামে শান্তি বিরাজ করছে।
সেই শান্তিকে কোনও ভাবে হারাতে দেওয়া যাবে না। এদিন চিল্কিগড়ের কনকদুর্গা মন্দিরের পূজারী গৌতম যড়ঙ্গীর হাতে পুরোহিত ভাতা তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী। সভা সেরে কনকদুর্গা মন্দিরে গিয়ে পুজোও দেন। মন্দিরের মুখ্য পূজারী গৌতমবাবুর বাবা আতঙ্কভঞ্জন ষড়ঙ্গীর কাছে মন্দিরের ইতিহাস সম্পর্কে খোঁজ নেন।
পুরনো জীর্ণ মন্দিরটির সংস্কার, অতিথিশালা তৈরি সহ নানা পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য ফের অর্থ বরাদ্দের আশ্বাস দেন মুখ্যমন্ত্রী।