জাতীয়

এই বছর ডিসেম্বরেই অক্সফোর্ড ভ্যাকসিনের তৃতীয় দফার ট্রায়ালের ফল

এই বছর ডিসেম্বরেই অক্সফোর্ড ভ্যাকসিনের তৃতীয় দফার ট্রায়ালের ফল

অধীর আগ্রহে অপেক্ষা চলছে করোনার ভ্যাকসিনের জন্য। সেই পরিস্থিতিতেই আশার আলো দেখাচ্ছে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি ভ্যাকসিন। এই ভ্যাকসিনের তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল চলছে বর্তমানে। সূত্রের খবর নভেম্বরের শেষে অথবা ডিসেম্বরের শুরুতেই এই ট্রায়ালের ফল মিলবে। প্রকাশ্যে আসবে তৃতীয় দফার ট্রায়ালের বিস্তারিত তথ্য।

একই ভাবে জানা যাবে সেরাম ইনস্টিটিউটের তত্বাবধানে তৈরি হওয়া ভ্যাকসিনের তৃতীয় পর্যায়ের ফলও। সেপ্টেম্বর মাসের শেষ থেকে তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল শুরু হয়েছে। পুনেতে শুরু হয়েছে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের করোনা ভ্যাকসিনের ট্রায়াল। তৃতীয় পর্যায়ের হিউম্যান ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু করেছে পুনের সেরাম ইনস্টিটিউট। স্যাসুন জেনারেল হসপিটালে এই তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল শুরু হয়েছে বলে খবর।

প্রায় ১৫০ থেকে ২০০ জন স্বেচ্ছাসেবক এই ট্রায়ালে অংশ নিয়েছেন। ওই হাসপাতালেই স্বেচ্ছাসেবকদের নাম নথিভুক্তিকরণের কাজ চলে। এছাড়াও জানানো হয়, যারা নাম নথিভুক্ত করতে চাইছেন তাঁদের হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল চলে ভারতী বিদ্যাপীঠ মেডিক্যাল কলেজ ও কেইএম হাসপাতালে। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকাই ভারতে তৈরি করছে সেরাম।

উল্লেখ্য সেরাম ইনস্টিটিউটের প্রধান আদর পুনাওয়ালা দাবি করেন করোনা ভ্যাকসিন আবিষ্কার হওয়ার পরেও সবাই তা নাও পেতে পারেন। গোটা বিশ্বে মাস ভ্যাকসিনেশন প্রক্রিয়া শেষ করতে সময় লেগে যেতে পারে কমপক্ষে চার থেকে পাঁচ বছর।

আরও পড়ুন : জনধন অ্যাকাউন্টের সঙ্গে লিঙ্ক Aadhaar করালে মিলবে ৫০০০ টাকা

২০২৪ সাল পর্যন্ত ভ্যাকসিনের যোগানে কিছুটা হলেও ঘাটতি থাকবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন সেরাম কর্তা। পুনাওয়ালা জানান বিশ্বের সব মানুষের কাছে ভ্যাকসিন পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব রাষ্ট্রগুলির হলেও, বিপুল জনসংখ্যা এই কাজে ব্যাঘাত ঘটাবে।

এদিকে, আগামী বছরের শুরুতেই নোভেল করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন দেশের বাজারে এসে যাবে বলে মনে করেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন। ইতিমধ্যেই আমেরিকা, ব্রিটেন-সহ বিশ্বের প্রথম সারির একাধিক দেশ করোনার ভ্যাকসিন বানাচ্ছে।

করোনার ভ্যাকসিন তৈরির কাজ চলছে ভারতেও। ভারত বায়োটেক, জাইডাস ক্যাডিলা-সহ বেশ কয়েকটি সংস্থা করোনার ভ্যাকসিন তৈরি করছে। অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন ভারতে তৈরি করছে পুণের সেরাম ইন্সটিটিউট। নতুন বছরের শুরুতেই দেশে করোনার ভ্যাকসিন বেরিয়ে যাবে বলে আশাবাদী কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

করোনার ভ্যাকসিন বেরিয়ে গেলে কীভাবে তা প্রতিটি রাজ্যে বণ্টন করা হবে সেব্যাপারে ইতিমধ্যেই নির্দিষ্ট একটি পরিকল্পনা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। করোনার ভ্যাকসিন বেরোলে তা সংগ্রহ থেকে শুরু করে রাজ্যে-রাজ্যে বণ্টনের ক্ষেত্রে যাবতীয় দায়িত্ব পালন করবে কেন্দ্র।

সূত্র: কলকাতা ২৪*৭

আরও পড়ুন ::

Back to top button