রাজধানী দিল্লিতে তখন সবে সকাল ভাঙছে। রোজের মতোই সকালে সাইকেল চালাতে বেরিয়েছিলেন। কিছুক্ষণ পরেই লক্ষ্য করেন তাঁর পিছনে পিছনে আসছে একটি গাড়ি। খুব একটা সামনাসামনি হতেই কাঁচ নামিয়ে অশ্রাব্য কথাবার্তা উড়ে আসতে থাকে।
কিছু বোঝে ওঠার আগেই গাড়িতে বসে থাকা ব্যক্তি প্যান্টের চেন নামিয়ে পুরুষাঙ্গ দেখিয়ে অশ্লীল ভঙ্গি শুরু করে দেয়। সাইকেলে থাকা স্মম্ভিত তরুণী চিত্কার শুরু করে দেন। বাজাতে থাকেন সাইকলে থাকা অ্যালার্ম, ছুটে আসেন সামনের কমপ্লেক্সের কয়েকজন বাসিন্দা, কিন্তু পালিয়ে যায় ওই গাড়িচালক।
সাময়িক ভাবে ঘটনার অভিঘাতে অসুস্থ হয়ে পড়লেও হাল ছাড়েননি ওই তরুণী। থানায় গিয়ে গোটা ঘটনা জানান। আসরে নামে পুলিশ। ২০০টি সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে বেরিয়ে আসে ব্যক্তির পরিচয়, যা জানতে পেরে স্তম্ভিত সকলে।
আরও পড়ুন: বিনামূল্যে মিলবে করোনার ভ্যাকসিন, ঘোষণা কেন্দ্রের
এই ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে দিল্লি পুলিশের বিশেষ সেলের সাব ইনস্পেক্টর পুনীত গারওয়াল। জানকীপুর অঞ্চলের বাসিন্দা সে। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ দেখতে পাচ্ছে,চলতি মাসের ১৬-২০ তারিখের মধ্যে পুনীত চারজন মহিলা এবং এক নাবালিকার শ্লীলতাহানি করেছে।
এর মধ্যে একজন এই বিষয়ে অভিযোগ না জানালেও বাকিরা মুখ খুলেছে। পুনীত এই কুকর্ম করার স্ত্রীর গাড়ি ব্যবহার করেছিল। পুনীতের স্ত্রী একজন শিক্ষিকা। তার এক মেয়েও রয়েছে।
দিল্লি পুলিশ এই গুণধর ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে শনিবার রাতে। তার বিরুদ্ধে ৩৫৪ নং ধারায় শ্লীলতাহানির অভিযোগ আনার পাশাপাশি পকসো ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। দিল্লি পুলিশের এক শীর্ষকর্তা জানান, দিল্লি কোর্ট তাকে ১৪ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতে নিয়েছে।
তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আলাদা করে রেকর্ড করা হচ্ছে নির্যাতিতাদের বয়ান।
সুত্র: নিউজ ১৮