পূর্ব মেদিনীপুর

নন্দীগ্রামে মন্ত্রী শুভেন্দুর বিজয়া সম্মিলনী

নন্দীগ্রামে মন্ত্রী শুভেন্দুর বিজয়া সম্মিলনী

নন্দীগ্রাম সীতানন্দ কলেজ ময়দানে শনিবার রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়। এই সম্মিলনী অনুষ্ঠানে শুভেন্দু অনুগামীদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো তবে শুভেন্দু অনুগামীদের কারো কাছে দেখা যায়নি তৃণমূলের দলীয় পতাকা। নন্দীগ্রামের বিজয়া সম্মিলনীতে শুভেন্দু অনুগামীর আহ্বায়ক সকলকে প্রায় একই পোষাখে শুভেন্দু অধিকারীর ছবি লাগানো ব্যাচ পরে থাকতে দেখা গিয়েছে, যেখানে তৃণমূলের কোনো ছিটেফোঁটাও নেই।

সম্মিলনী অনুষ্ঠান শুরুর পূর্বে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দিয়ে বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠান শুরু হয়। নন্দীগ্রামের বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠানে আয়োজকদের পরিচয় হিসেবে শুভেন্দু অধিকারীর ছবি লাগানো পরিচয় পত্র নিয়ে ভিড় সামলাচ্ছেন। তবে মঞ্চে বিজয়া সম্মিলনী কাটআউটে লেখা রয়েছে অতিথি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী।

কিন্তু মন্ত্রী কথাটা উল্লিখিত নেই। তবে নন্দীগ্রামের বিজয়া সম্মিলনি অনুষ্ঠানে রাজ্যের মন্ত্রী পরিচয়ের বাইরে তিনি শুধুই বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। তবে তিনি যে এই মুহূর্তে দলবদল করছেন না, তা বক্তব্যের মধ্য দিয়ে বুঝিয়ে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী।

তিনি নন্দীগ্রামে বিজয়ী সম্মিলনী মঞ্চ থেকে বলেন আমার বিভিন্ন পদ পরিবর্তন হয়েছে, ভবিষ্যতেও হতে পারে, তবে আত্মার আত্মিক সম্পর্ক আছে থাকবে। ২০০৩ থেকে ২০২০ পর্যন্ত আমি একই রয়েছি, পরিবর্তন হওয়ার প্রশ্নই ওঠে না।

আরও বলেন আমায় অনেকে গালিগালাজ করেছে, খারাপ কথাও বলেছে টেলিফোনে, তবু আমি উল্টে কোনো কথা বলিনি তাঁদের কারণ জনপ্রতিনিধি হতে গেলে ধৈর্য সহ্য দুটো ক্ষমতা আমার আছে।

আরও পড়ুন: বিজেপি রাজ্য সভাপতির পদ থেকে সরানো হতে পারে দিলীপ ঘোষকে

পাশাপাশি প্রচারিত হওয়া কিছু সংবাদমাধ্যমকে উদ্দেশ্য করে বলেন বাজারি কিছু সংবাদপত্র, পোর্টাল ভুলভাল প্রচার করে যাচ্ছে আমার নামে, যতক্ষণ না আমার মুখ থেকে কিছু শুনছেন ততদিন ওদেরকে উপেক্ষা করুন। করোনা আক্রান্ত থাকাকালীন বহু মানুষ আমার সুস্থতা কামনা করে মন্দিরে, মসজিদে পূজো দিয়েছেন, তাঁদের ধন্যবাদ জানাই।

শরৎ ভুঞা করোনা আক্রান্ত হওয়ার সময় আমি দায়িত্ব নিয়েছিলাম, এবং ২০০৭ সালে নন্দীগ্রাম কান্ডে গুলি খেয়েছিল শরৎ ভুঞা, ক্ষেত্রে আমি না থাকলে ওকে তো মেরেই ফেলত তৎকালীন হার্মাদ বাহিনী ঢেকুরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসের সামনে,, কিন্তু তাঁরাই অতীত গুলো ভুলে যায়।

২০০৩ সালে সিপিএম থেকে আমার হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দিল, কিন্তু এখন ঘরের মধ্যে গুজুর গুজুর ফুসুর ফুসুর করছে ,সে কারনে লক্ষ্মণ শেঠের মতো ওদেরও পতন হবে। এমনকি লক্ষণ শেঠকে এক হাত নিয়ে তাঁকেও তুলধনা করলেন নন্দীগ্রামের বিজয়ী সম্মেলনের মঞ্চ থেকে।

তাঁর কটাক্ষ ১৯৯৫ সালে কংগ্রেসের হাত চিহ্ন নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলাম, প্যারাসুট বা লিফ্ট ব্যবহার করিনি, সিঁড়ি ভেঙে কাজ করেছি, তাই বাজে কথায় কান দিইনা। কুকুরের কাজ কুকুর করবে, পায়ে তো কামড়াবেই, কিন্তু ঘুরে কামড়ানো কি আমার শোভা পায়, তাই বাজে কথায় কান না দিয়ে নিজের কাজ নিজে করুন। শেষে নন্দীগ্রামের জয়ধ্বনি দিয়ে বক্তব্য শেষ করে।

 

আরও পড়ুন ::

Back to top button