রাজ্য

চোর সন্দেহে গণপিটুনি, মানসিক ভারসাম্যহীন এক যুবককে! অতপর

চোর সন্দেহে গণপিটুনি, মানসিক ভারসাম্যহীন এক যুবককে! অতপর
প্রতিকি ছবি

চোর সন্দেহে মানসিক ভারসাম্যহীন এক যুবককে পিটিয়ে মেরে ফেলার অভিযোগ উঠেছে মুর্শিদাবাদে। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে সামসেরগঞ্জ থানা এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে খবর, গতকাল অর্থাত্‍ রবিবার সকালে সামসেরগঞ্জের কোপা পাড়া এলাকায় ঘুরছিলেন এক যুবক। পুলিশ জানিয়েছে, যুবকের নাম স্বরূপ দাস।

তিনি মানসিক ভাবে ভারসাম্যহীন। ওই যুবককে এলাকায় ইতস্তত ভাবে ঘুরতে দেখে চোর সন্দেহ করে কোপা পাড়ার স্থানীয় বাসিন্দাদের কয়েকজন। তারাই ঘিরে ধরে ওই যুবককে। তার পর শুরু হয় বেধড়ক মারধর। পরে তাঁকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে তারাপুর সেন্ট্রাল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

রবিবার রাতে সাড়ে এগারোটা নাগাদ সেখানেই চিকিত্‍সা চলাকালীন মৃত্যু হয় যুবকের। গোটা ঘটনা জানিয়ে বিচারের আশায় পুলিশের দ্বারস্থ হয় মৃতের পরিবার। আর তার পর শুরু হয়েছে নতুন সমস্যা। এই ঘটনা কোন থানার অন্তর্গত এলাকায় হয়েছে তা নিয়ে শুরু হয়েছে টানাপোড়েন।

সামসেরগঞ্জ এবং ফরাক্কা থানার মধ্যে কে এই গণপিটুনির ঘটনায় তদন্ত করবে তা নিয়ে চলছে দড়ি টানাটানি। দুই থানার ঝামেলায় এখনও হাসপাতালে পড়ে রয়েছে দেহ। ময়নাতদন্তেও পাঠানো সম্ভব হয়নি। এই ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে তদন্তে গাফিলতির অভিযোগ এনেছে মৃতের পরিবার।

আরও পড়ুন:‘স্বাস্থ্য বিধি মেনে লোকাল ট্রেন চালাতে প্রস্তুত, চিঠি রেলের

ক্ষোভে ফেটে পড়েছে তারা। অভিযুক্তদের পুলিশ কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করুক এই দাবিতে অনড় রয়েছে মৃত যুবকের পরিবার। বেশ কয়েকমাস আগে পর্যন্ত রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে বারবার গণপিটুনির খবর প্রকাশ্যে আসত। প্রশাসনের হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও একদল লোক লাগাতার এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে গিয়েছিল।

মারাও গিয়েছিলেন অনেক নিরীহ মানুষ। মাঝে গণপিটুনির ঘটনা কিছুটা কমলেও ফের প্রকাশ্যে আসছে এ ধরনের ঘটনা। তারই একটি নমুনা মুর্শিদাবাদের ঘটনা। কেবলমাত্র সন্দেহের বশবর্তী হয়ে একজন মানসিক ভারসাম্যহীন যুবককে পিটিয়ে মেরে ফেলেছে গ্রামবাসীরা।

এদিকে এমন ন্যাকারজনক ঘটনায় এখনও কাউকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ। শুরু হয়নি তদন্তও। উল্টে কোন থানা কেস নেবে তাই এখনও ঠিক হয়নি। কার্যত এ ওকে ঠ্যালাঠেলির পর্যায়ে রয়েছে। আর এতেই ক্ষুব্ধ মৃতের পরিবার। তাদের দাবি, পুলিশ এইসব বন্ধ করে অভিযুক্তদের উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করুক। তাহলেই ন্যায় পাবে তাদের ছেলে।

 

সুত্র: THE WALL

আরও পড়ুন ::

Back to top button