বলিউড

দর্শকই ঠিক করেন কে থাকবে কে নয়: ফাতিমা

দর্শকই ঠিক করেন কে থাকবে কে নয়: ফাতিমা
ফাতিমা সানা

‘নেপোটিজম’ বা ‘ইনসাইডার-আউটসাইডার’ নিয়ে বলিউডে বহু আগে থেকেই বিতর্ক। অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর সেই বিতর্ক আরও মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। কিন্তু এই বিতর্কে ‘দঙ্গল’ কন্যা ফাতিমা সানা শেখের কী বক্তব্য? সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে সেটাই স্পষ্ট করে জানালেন নায়িকা।

ওই সাক্ষাৎকারে স্বজনপোষণ বিষয়ক এক প্রশ্নের জবাবে ফাতিমা বলেন, ‘ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির এই রাস্তাটা কঠিন। জেনেশুনেই এখানে এসেছি। তবে শেষ পর্যন্ত দর্শকই ঠিক করেন, ইন্ডাস্ট্রিতে কে থাকবে আর কে নয়। তাই এটা নিয়ে কোনো আগ্রাসী বিতর্ক আমার পছন্দ নয়। এর ফলে বলিউড ইন্ডাস্ট্রিরই ক্ষতি হচ্ছে।’

এক্ষেত্রে নামী দুজন অভিনেতার উদাহরণ টেনে ফাতিমা বলেন, ‘ইনসাইডার হয়েও অভিষেক বচ্চনকে কিন্তু লড়তে হয়েছে। আবার আউটসাইডার হয়েও মনোজ বাজপেয়ীর মতো অভিনেতা খ্যাতি পেয়েছেন। আমার আগামী দুই ছবির এই দুই কো-স্টারের সঙ্গে বেশ ভালো সম্পর্ক হয়েছে। অভিষেকের মধ্যে বন্ধু খুঁজে পেয়েছি আর মনোজ স্যারের মধ্যে মেন্টর।’

আরও পড়ুন: উপচে পড়ছে ভরা যৌবন, সৌন্দর্যের গোপন রহস্য ফাঁস করলেন এই অভিনেত্রীর

২০১৬ সালে বলিউডের ‘মিস্টার পারফেকশনিস্ট’ খ্যাত বিখ্যাত অভিনেতা আমির খানের সঙ্গে ‘দঙ্গল’ ছবিতে অভিনয় করেন ফাতিমা সানা শেখ। অভিনেত্রীর মতে, এই ছবি তার জীবনটাই পাল্টে দিয়েছিল। ইন্ডাস্ট্রিতে ফাতিমার পায়ের তলার জমি শক্ত করতে ‘দঙ্গল’ ছবিটির অবদান অনেক। সেখানে তাকে আমির খানের মেয়ে কুস্তিগীর গীতা ফোগাতের চরিত্রে দেখা যায়।

দর্শকই ঠিক করেন কে থাকবে কে নয়: ফাতিমা

এর পরও স্ট্রাগল করেই বলিউডে টিকে থাকতে হয়েছে ফাতিমাকে। এ কথাও জানান অভিনেত্রী। কারণ, যে নায়কের সঙ্গে অভিনয় করে তিনি খ্যাতি পেয়েছিলেন, সেই আমির খানের সঙ্গেই ফাতিমার পরবর্তী ছবি ‘ঠগস অব হিন্দুস্থান’ ব্ক্স অফিসে ফ্লপ হয়। তাই নায়িকার কথা, স্ট্রাগলের কোনো শেষ নেই। ধীর গতিতে এগোচ্ছি। এতেই আমি খুশি।’

‘দঙ্গল’ দিয়ে ফাতিমা ব্যাপক পরিচিতি পেলেও অনেকেই হয়তো জানেন না, বহু আগে থেকেই এই জগতে তার চলাফেরা। ১৯৯৭ সালে ‘চাচী ৪২০’ নামের একটি ছবিতে তিনি শিশুশিল্পী হিসেবে অভিনয় করেন। সেটিই ছিল ফাতিমার প্রথম চলচ্চিত্র। এরপর শাহরুখ খান-জুহি চাওলা অভিনীত ‘ওয়ান টু কা ফোর’ ছবিতেও তিনি শিশুশিল্পী হিসেবে অভিনয় করেন।

আরও পড়ুন: শাহরুখের হাত ধরে পর্দায় এসেছেন যারা

আরও পড়ুন ::

Back to top button