ঝাড়গ্রাম: কয়েক মাস আগে আবাস যোজনায় নতুন বাড়ি পেয়েছেন গোপীবল্লভপুরের সাতমা পঞ্চায়েতের শরবনি গ্রামের ভজু মাণ্ডি। বুধবার রাতে সেই বাড়িতে ঘুমিয়ে থাকার সময়ে সিলিংয়ের চাঙড় খসে পড়ায় জখম হলেন ভজু, তাঁর স্ত্রী ও তিন ছেলেমেয়ে।
এই ঘটনাকে ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনীতির চাপান-উতোর। বৃহস্পতিবার গোপীবল্লভপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভজু ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা করানো হয়। ভজুর মেয়ে ১১ বছরের মালতীর বাম চোখের আঘাত গুরুতর।
২০১৮ সালের পঞ্চায়েত ভোটে সাতমা পঞ্চায়েতটি ত্রিশঙ্কু হয়। বিজেপির সমর্থনে সিপিএমের প্রধান হন। উপ প্রধান হয় বিজেপির। সিপিএম-বিজেপির পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আবাস যোজনায় নিম্নমানের উপকরণ দিয়ে বাড়ি তৈরির অভিযোগ করেছেন তৃণমূলের গোপীবল্লভপুর-১ ব্লক সভাপতি হেমন্ত ঘোষ।
আরও পড়ুন: কঙ্গনার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা জাভেদের
তাঁর অভিযোগ, দরিদ্র-দিনমজুর ভজুর সরলতার সুযোগ নিয়ে তাঁর বাড়ি নিম্নমানের উপকরণ দিয়ে তৈরি করার ফলে এমন ঘটনা ঘটেছে। বিজেপির উপপ্রধান অঞ্জুরাণী সিংয়ের স্বামী অজয় সিং বাড়ি তৈরির দায়িত্বে ছিলেন। অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিজেপির উপপ্রধান।
তাঁর স্বামী অজয়ের বক্তব্য, “আমি কেবল উপকরণ সরবরাহ করতে সাহায্য করেছি। কোনও নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহার করা হয়নি। তাহলে এমন কেন হল? অঞ্জু সিং বলেন, ‘‘ছাদের সিলিংয়ের প্লাস্টারের আগেই ওই পরিবারটি ঘরের ভিতরে বেশ কিছুদিন রান্না করেছিল। ধোঁয়ায় সিলিংয়ে ভূষোকালি জমে গিয়েছিল। তারপরে প্লাস্টার করায় সমস্যা হয়েছে।”