ঝাড়গ্রাম

প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরির দাবিতে ঝাড়গ্রামে টেট উত্তীর্ণদের বিক্ষোভ-মিছিল

স্বপ্নীল মজুমদার

প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরির দাবিতে ঝাড়গ্রামে টেট উত্তীর্ণদের বিক্ষোভ-মিছিল
নিজস্ব চিত্র

ঝাড়গ্রাম: টেট উত্তীর্ণ ঝাড়গ্রাম জেলার ৩৪ জন যুবক-যুবতী যোগ্যতাসম্পন্ন হওয়া সত্ত্বেও প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি পাননি। নিয়োগের দাবিতে বৃহস্পতিবার ঝাড়গ্রাম শহরে বিক্ষোভ মিছিল করলেন তাঁরা।

প্রাথমিক টেট উত্তীর্ণ প্রশিক্ষিত ঐক্যমঞ্চ (ডিএলএড) ঝাড়গ্রাম জেলা শাখার উদ্যোগে এদিন ওই মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন সংগঠনের জেলা সভাপতি চিন্ময় দাস ও জেলা সম্পাদক প্রশান্ত পাত্র। মিছিলের পরে ঝাড়গ্রাম জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের চেয়ারপার্সন বিরবাহা সরেন টুডুর কাছে স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়।

সংগঠনের বক্তব্য, রাজ্যজুড়ে ১২০০ জন টেট উত্তীর্ণ ডিএলএড প্রশিক্ষিত প্রার্থী রয়েছেন। এর মধ্যে ঝাড়গ্রাম জেলায় টেট উত্তীর্ণের সংখ্যা ৩৪ জন। কিন্তু এখনও শিক্ষক পদে তাঁদের নিয়োগ করা হয়নি। তাঁদের দাবি, শিক্ষামন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছিলেন, রেগুলার টেট উত্তীর্ণ প্রার্থীরা ডিএলএড প্রশিক্ষিত হলে তাঁদের ধাপে ধাপে নিয়োগ করা হবে।

অথচ এখনও একজনকেও নিয়োগ করা হয়নি। যদিও জেলার প্রাথমিক শিক্ষকের অনেক পদ খালি। তা সত্ত্বেও যোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করা হচ্ছে না। গত চার বছরে প্রাথমিক শিক্ষক পদে কোনও নিয়োগ হয়নি। জেলার প্রাথমিক স্কুলগুলিতে পঞ্চম শ্রেণি চালু হয়েছে।

ফলে প্রাথমিক স্কুলগুলিতে শূন্যপদ ছাড়াও বাড়তি শিক্ষক পদ সৃষ্টি করে নিয়োগের প্রয়োজন রয়েছে। এই সমস্যার দ্রুত সমাধান করে টেট উত্তীর্ণদের অবিলম্বে শিক্ষক পদে নিয়োগের দাবি তুলেছে প্রাথমিক টেট উত্তীর্ণ প্রশিক্ষিত ঐক্যমঞ্চ (ডিএলএড)।

আরও পড়ুন: ঋতুপর্ণার ‘আবেদন’ নিয়ে খোলাখুলি বললেন প্রসেনজিৎ

এদিন সকাল ১১ টায় অরণ্যশহরের অফিসার্স ক্লাবের মাঠ থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়। এরপরে মেন রোড ধরে পাঁচমাথার মোড় হয়ে মিছিলটি কদমকাননে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের (প্রাথমিক) দফতরের সামনে শেষ হয়। সেখানে পথসভায় নিয়োগের দাবিতে সরব হন ঐক্যমঞ্চের জেলা সম্পাদক প্রশান্ত পাত্র।

এরপরে ঐক্যমঞ্চের দুই সদস্যের প্রতিনিধি দল বিরবাহা সরেন টুডুর সঙ্গে দেখা করে স্মারকলিপি জমা দেন। সূত্রের খবর, ঐক্যমঞ্চ যে নিয়োগের দাবি করছে, সেই বিষয়টি উচ্চ আদালতের বিচারাধীন রয়েছে। টেট উত্তীর্ণরা এখনও উত্তীর্ণ হওয়ার শংসাপত্র পাননি।

এ ব্যাপারে কয়েকজন প্রার্থী আদালতের দ্বারস্থ হন। সরকারি সূত্রের ব্যাখ্যা বিষয়টি আদালতের বিচারধীন থাকায় নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত রাখা হয়েছে। যদিও ঐক্যমঞ্চের জেলা সভাপতি চিন্ময় দাস বলছেন, ‘‘শংসাপত্র না পাওয়ার জন্য প্রার্থীরা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। কিন্তু নিয়োগের সঙ্গে তো তার সম্পর্কই নেই।”

জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের চেয়ারপার্সন বিরবাহা সরেন টুডু বলেন, ‘‘ঐক্যমঞ্চের স্মারকলিপি পেয়েছি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে আনা হবে।’’

আরও পড়ুন ::

Back to top button