ঝাড়গ্রাম

করোনায় আক্রান্ত কিশোর, বহুতল জীবাণুমুক্ত করল পুরসভা

স্বপ্নীল মজুমদার

করোনায় আক্রান্ত কিশোর, বহুতল জীবাণুমুক্ত করল পুরসভা

ঝাড়গ্রাম : এক কিশোর করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় ঝাড়গ্রাম শহরের একটি বহুতল আবাসন জীবাণুমুক্ত করল পুরসভা। বুধবার পুরসভার কর্মীরা ওই বহুতল আবাসনটির প্রতিটি তলায় জীবাণুনাশক স্প্রে করেন। পুরসভা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শহরের রঘুনাথপুর এলাকায় ওই আবাসনে ভাড়া থাকেন এক রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্কের আধিকারিক।

আক্রান্ত কিশোরটি ওই আধিকারিকের ভাই। সম্প্রতি ঝাড়খণ্ডের এক এলাকা থেকে ওই কিশোরটি দাদার কাছে এসেছিল। ঝাড়গ্রামে এসে জ্বরে আক্রান্ত হয় ওই কিশোর। মঙ্গলবার সকালে ঝাড়গ্রাম জেলা হাসপাতালে ওই কিশোরের র‍্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষায় করোনা ধরা পড়ে। কিন্তু হাসপাতাল থেকে কোনও রিপোর্ট দেওয়া হয়নি। ওই কিশোরটিকে হোম আইসোলেশন থাকতে বলা হয়। কিন্তু মঙ্গলবার বিকেলে ওই কিশোরের প্রবল শ্বাসকষ্ট শুরু হয়।

আরও পড়ুন : জঙ্গলমহলের বাঁদনা-পরবে দেবজ্ঞানে জীবসেবা

হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তৃপক্ষ করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট চান। কিন্তু এদিন সকালে পরীক্ষার কোনও রিপোর্ট ওই কিশোরের পরিবারকে দেওয়া হয়নি। ফের একদফা পরীক্ষা করতে সময় গড়িয়ে যায়। কিশোরটিকে বসিয়ে রাখা হয় অনেকক্ষণ। পরে অবশ্য সঙ্কটজনক ওই কিশোরটিকে ভর্তি নিতে চাননি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। শেষ পর্যন্ত পরিজনেরা ওই কিশোরটিকে কলকাতার হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছেন।

করোনার চিকিৎসা পরিষেবা সেভাবে ঝাড়গ্রামে কিছুই মিলছে না বলে অভিযোগ করেছেন রোগীর পরিজনেরা। করোনা পরীক্ষা করালেও রিপোর্ট দেওয়া হচ্ছে না। ফলে হোম আইসলেশনে থাকাকালীন কেউ গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে ফের পরীক্ষা করা হচ্ছে।

এরফলে চিকিৎসা শুরু হতে দেরী হচ্ছে। অনেকক্ষেত্রে রোগীর মৃত্যুও হচ্ছে। কয়েকমাস আগে এভাবেই হোম আইসলেশনে থাকা এক পুলিশ কর্মী গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েও বাঁচানো যায়নি। আবার আক্রান্ত এলাকা জীবাণুমুক্ত করাও হচ্ছে না বলে অভিযোগ।

আরও পড়ুন : তামার ঘটেই দেবী কালিকার আরাধনা ঝাড়গ্রামের কন্যাগুরুকুলে

ওই বহুতল আবাসনের বাসিন্দারা পুরসভার নবনিযুক্ত চেয়ারপার্সন প্রশান্ত রায়কে বিষয়টি জানান। প্রশান্তবাবুর হস্তক্ষেপে ওই বহুতল আবাসনটি এদিন জীবাণুমুক্ত করেন পুরসভার কর্মীরা।

আরও পড়ুন ::

Back to top button