আন্তর্জাতিক

শুধু ভ্যাকসিন দিয়েই অতিমহামারী রোধ করা যাবে না: হু প্রধান

শুধু ভ্যাকসিন দিয়েই অতিমহামারী রোধ করা যাবে না: হু প্রধান

ভ্যাকসিন আমাদের অতিমহামারীর বিরুদ্ধে লড়তে সাহায্য করবে। কিন্তু শুধু ভ্যাকসিন দিয়েই কোভিড ১৯ কে পরাজিত করা যাবে না। সোমবার এমনই মন্তব্য করেন হু-র প্রধান তেদ্রোস আদহানম ঘেব্রেইসাস। তিনি নির্দিষ্ট তথ্য দিয়ে বলেন, প্রথম সংক্রমণ শুরু হওয়ার পরে কয়েক মাস ধরে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে।

বিশ্বে ৫ কোটি ৪০ লক্ষের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। প্রাণ হারিয়েছেন ১৩ লক্ষ মানুষ। হু প্রধানের কথায়, ‘অতিমহামারীর মোকাবিলায় আমরা যে অস্ত্রগুলি ব্যবহার করছি, ভ্যাকসিন একাই তাদের বিকল্প হয়ে উঠতে পারবে না। তবে ভ্যাকসিন আমাদের সহায়ক হতে পারে।’

বিশ্বের নানা দেশেই এখন করোনার ভ্যাকসিন নির্মাণের জন্য পরীক্ষা নিরীক্ষা চলছে। কোনও কোনও মহল থেকে দাবি করা হচ্ছে, করোনার ভ্যাকসিন ইতিমধ্যেই আবিষ্কার করে ফেলেছে তারা। সোমবার ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা মোডার্না জানিয়েছে, তারা ৩০ হাজার লোকের ওপরে কোভিড ভ্যাকসিনের পরীক্ষা চালিয়েছিল।

৯৪ শতাংশ ক্ষেত্রে তাদের ভ্যাকসিন কার্যকরী হয়েছে। রাশিয়া বিশ্বের প্রথম করোনা ভ্যাকসিন আবিষ্কারের দাবি জানিয়েছে। রুশ ভ্যাকসিন ‘স্পুটনিক ভি’ নিয়ে নানা বিতর্কও চলছে। এরই মধ্যে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে তাদের ভ্যাকসিন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছে বলে দাবি জানিয়েছে মার্কিন ওষুধ কোম্পানি ফিজার।

আরও পড়ুন: আমাদের কোভিড ভ্যাকসিন ৯৪ শতাংশ কার্যকরী, দাবি এই কোম্পানির

আরএনএ জিন প্রযুক্তিতে তৈরি এই টিকার প্রথম পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালগুলি সফল হয়েছে বলেও দাবি করা হয়েছে। প্রথম হওয়ার প্রতিযোগিতায় নেমে ভ্যাকসিনের সাফল্য দাবি করার ক্ষেত্রে রাশিয়া তাড়াহুড়ো করেছে বলে আগেই অভিযোগ উঠেছে। ভ্যাকসিনের তথ্য নিয়েও নানা প্রশ্ন উঠেছে।

কারণ, ভ্যাকসিনের প্রথম স্তরের ট্রায়ালের পরেই রাশিয়া দাবি করেছে টিকা সার্বিকভাবে প্রয়োগের জন্য তৈরি। নিউ ইয়র্কের ওষুধ কোম্পানি ফিজারের তৈরি করা ভ্যাকসিন আমেরিকার কিছু বিশ্ববিদ্যালয় ও হাসপাতালে পরীক্ষা করা হয়েছে। আর তাতে সাফল্যও মিলেছে বলে দাবি করা হয়েছে।

ফিজার আপাতত এই ভ্যাকসিনের নাম রেখেছে বিএনটি১৬২বি১। সংস্থা বলছে, এই ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ প্রয়োগ করা হলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে আর দ্বিতীয় ডোজে তা আরও শক্তিশালী হয়। গত ১২ অগস্ট প্রকাশিত নেচার জার্নাল জানিয়েছে, এই টিকার এমনিতে কোনও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া না থাকলেও কোনও কোনও স্বেচ্ছাসেবীর ক্ষেত্রে ইঞ্জেকশন নেওয়ার জায়গায় ব্যথা হয়েছে।

ক্লান্তি, জ্বর, নিদ্রাহীনতা মাথা যন্ত্রণার মত নানা উপসর্গ দেখা দিয়েছে। তবে গবেষকরা দাবি করেছেন, এই সব লক্ষণ সপ্তাহ খানেকের মধ্যেই কেটে যাবে। এটাও দেখা গিয়েছে যে, অতীতে করোনা আক্রান্তদের তুলনায় যারা কখনও করোনা আক্রান্ত হয়নি তাদের শরীরে এই ভ্যাকসিন বেশি ভাল কাজ করছে।

 

 

সুত্র: THE WALL

আরও পড়ুন ::

Back to top button