কলকাতা

আদালতের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ছটপুজো করতে চেয়ে বিক্ষোভ রবীন্দ্র সরোবরে

আদালতের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ছটপুজো করতে চেয়ে বিক্ষোভ রবীন্দ্র সরোবরে

শীর্ষ আদালতের নির্দেশ অমান্য করে ছট পুজোর দাবিতে রবীন্দ্র সরোবরের বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করলেন স্থানীয়রা। শুক্রবার সকালে সরোবরের ৩ নম্বর গেটের সামনে আচমকাই উত্তেজনা ছড়ায়। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্মীরা বোঝাতে গেলে তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে পড়েন তাঁরা।

আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও ২০১৯ সালে ছটপুজোর সময় বন্ধ গেট জোর করে খুলে সরোবরে ঢুকে পড়েছিল বহু মানুষ। সঙ্গে ছিল ঢোল-তাসা, ডিজে। ফাটানো হয়েছিল দেদার শব্দবাজি। আদালতের নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে সেবার মহা সমারোহে পালিত হয় ছটপুজো।

এবারও পরিস্থিতি যাতে সেদিকে না যায় তার জন্য আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়েছে পুলিশ-প্রশাসন। সুপ্রিম নির্দেশ আসার পরেই কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেল হয়েছে গোটা রবীন্দ্র সরোবর চত্বর।

টিন, বাঁশ দিয়ে ঘেরা হয়েছে গোটা সরোবর এলাকা। গাড়ি অথবা লোকজনের প্রবেশ পুরোপুরি নিষিদ্ধ। তারপরেও বিশৃঙ্খলা পুরোপুরি ঠেকানো গেল না।

আরও পড়ুন: সুভাষ সরোবর ও রবীন্দ্র সরোবরে ছট পুজো নয়!

শুক্রবার সকালে বেশ কিছু পুণ্যার্থী রবীন্দ্র সরোবরের ৩ নম্বর গেটের সামনে ভিড় জমান। বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন পুণ্যার্থীরা। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্মীরা তাঁদের বোঝানোর চেষ্টা করেন। পুণ্যার্থীদের দাবি, মাত্র চার ঘণ্টার মধ্যে ছটপুজো সেরে নেওয়া সম্ভব।

আর সামান্য সময়ে ছটপুজো করলে কোনও সমস্যা হবে না। রবীন্দ্র সরোবরে ঢোকার অনুমতি না মিললে মূল দরজার সামনেই ছটপুজো করার হুঁশিয়ারি পুণ্যার্থীদের।

গত বছরের মতো জাতীয় পরিবেশ আদালত এবছরও রবীন্দ্র সরোবরে ছটপুজোয় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। বিধিনিষেধ মেনে কেএমডিএ ছটপুজোর আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল। কিন্তু আবেদন খারিজ হয় সেখানেও।

এরপর এই দুই আদালতের রায়ের বিরোধিতায় সুপ্রিম কোর্টে আপিল করে কেএমডিএ।কিন্তু একই রায় বহাল রাখে শীর্ষ আদালত। এরপরই কলকাতা পুরসভা গঙ্গার ১৬টি ঘাটের পাশাপাশি কলকাতার বিভিন্ন এলাকায় ৪৪টি পুকুর ছটপুজো করার সমস্ত বন্দোবস্ত করে।

তাঁর মাধ্যমে বাংলাদেশের তাঁতবস্ত্র ও গামছা পৌঁছে গিয়েছে বিশ্বের দরবারে। মুখোমুখি বিবি রাসেল ।

 

 

সুত্র: কলকাতা ২৪*৭

আরও পড়ুন ::

Back to top button