প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীদের বৈঠকে রাজ্যের বকেয়া নিয়ে ফের সরব হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ দিন করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আট রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সাথে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, কোভিড পরিস্থিতিতে রাজ্য খরচ করেছে প্রায় ৪০০০ কোটি টাকা।
যদিও রাজ্য পেয়েছে ১৯৩ কোটি টাকা। একই সঙ্গে রাজ্য জিএসটি বাবদ প্রায় ৮৫০০ কোটি টাকা পায় বলেও এদিন তিনি জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীকে।
আজ করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে মুখোমুখি হলেন দু’জন। এই বৈঠকে হাজির ছিলেন অন্যান্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরাও। করোনা ভ্যাকসিন হাতে এলে তার বণ্টন কীভাবে হবে, কারা টিকাকরণের অগ্রাধিকার পাবেন এই সব বিষয় নিয় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৈঠকে বসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মুখ্যমন্ত্রী এই বৈঠকে যোগ দেন বাঁকুড়া থেকেই।
সম্প্রতি করোনা ভ্যাকসিন তৈরি ও বণ্টন নিয়ে কেন্দ্রের পরিকল্পনার কথা জানতে চেয়েছিলেন দেশের সমস্ত বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্যরা। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে প্রথমে কোনও সদুত্তর মেলেনি। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, এই বিষয়টি তথ্যের অধিকার আইনের আওতায় পড়ে না।
যদিও দেশব্যাপী আক্রমণের জেরে সুর নরম হয় কেন্দ্রীয় সরকারের। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন জানিয়ে দেন, সব যথাযথ ভাবে চললে ২০২১ সালের এপ্রিলের মধ্যেই করোনা ভাইরাসের টিকা হাতে পেয়ে যাবে ভারত।
আরও পড়ুন: নীতিশ কুমার মুখ্যমন্ত্রী হতেই নিজের আঙুল কাটলেন এই ব্যক্তি
কেন্দ্রের অনুমান, জুন-জুলাইয়ের মধ্যে অন্তত ২৫ কোটি মানুষের কাছে এই টিকা পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করা হবে। তবে কোন রাজ্যে কীভাবে ভ্যাকসিনের বণ্টন হবে। কী ভাবে এগোবে টিকাকরণের পুরো প্রক্রিয়া ইত্যাদি সমস্ত আলোচনা করতেই আজ মুখ্যমন্ত্রীদের মুখোমুখি হলেন মোদি।
কেন্দ্রের বিচারে পশ্চিমবঙ্গে করোনা পরিস্থিতির খারাপ তালিকায় আছে। যদিও কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তে প্রবল আপত্তি আছে রাজ্যের। রাজ্যের বক্তব্য, করোনা পরিস্থিতির ক্রমশ উন্নতি হচ্ছে। পজিটিভ কেস ও রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুহার অনেক কমে গেছে। সোমবারই মুখ্যমন্ত্রী বাঁকুড়ার সভা থেকে কটাক্ষ করেছেন।
তিনি বলেছেন, “ইঞ্জেকশন আসতে সময় লাগবে আট মাস। ইঞ্জেকশন আমরাও দিতে পারি। শুধু কেন্দ্রকে বলো কার থেকে নিতে হবে?” সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মনে করিয়ে দিয়েছেন একাধিক দেশ ও রাজ্যের সাথে সীমান্ত রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের। বহু মানুষ চিকিত্সা করাতে আসেন।
এর পরেও রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি অনেক নিয়ন্ত্রণে আছে। মুখ্যমন্ত্রী এদিন জানিয়েছেন, উত্সব গেছে। লোকাল ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। তার পরেও রাজ্যে সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার দুটোই ভীষণ কম।
সুত্র: নিউজ ১৮