ঝাড়গ্রাম: স্বাস্থ্য পরিষেবা সচল রাখতে হাড়ভাঙা পরিশ্রম করেন আশাকর্মীরা। অথচ নাম মাত্র সাম্মানিক মেলে। সাপ্তাহিক ছুটিও নেই। করোনা আবহেও প্রয়োজনীয় নিরাপদ সরঞ্জাম ছাড়াই কাজ করতে হচ্ছে বেশির ভাগ আশাকর্মীদের। তা সত্ত্বেও স্বাস্থ্য প্রশাসন নির্বিকার বলে অভিযোগ আশাকর্মীদের।
এই পরিস্থিতিতে চূড়ান্ত আন্দোলনে যাওয়ার আগে স্বাস্থ্য প্রশাসনের বিভিন্ন মহলে আবেদন-নিবেদন ও প্রতীকী বিক্ষোভ কর্মসূচি করছে আশাকর্মীদের সংগঠন। এগারো দফা দাবিতে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে স্মারকলিপি জমা দিল পশ্চিমবঙ্গ আশাকর্মী ইউনিয়নের ঝাড়গ্রাম জেলা শাখা।
আরও পড়ুন: কাকদ্বীপে বিজেপি নেতার বাড়ি ভাঙচুর অভিযোগের তীর তৃণমূলের দিকে!
এদিন সংগঠনের সদস্য আশাকর্মীরা ঝাড়গ্রাম শহরে মিছিল করেন। পাঁচ মাথা মোড়ে পথসভা করার পরে সিএমওএইচ অফিসে গিয়ে দাবিপত্র জমা দেন।
সংগঠনের জেলা সম্পাদক জোৎস্না মাইতি জানান, আশাকর্মীদের সরকারি কর্মীর মর্যাদাদান, মাসিক ২১ হাজার টাকা বেতন, অবসরের পরে দশ হাজার টাকা পেনসন, সাপ্তাহিক ছুটি সহ ১১ দফা দাবিতে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে।
জোৎস্নাদেবী বলেন, “উপযুক্ত পারিশ্রমিক, সুরক্ষা, প্রশিক্ষণ ছাড়া এ ধরনের ক্রমাগত চাপিয়ে দেওয়া কাজ করা আমাদের পক্ষে অসম্ভব হয়ে পড়ছে।”