রাজ্য

স্বপন বাউলের করোনা ও লক ডাউন সচেতনে মুগ্ধ হয়ে প্রশংসাপত্র দিলেন বাংলার রাজ্যপাল

স্বপন বাউলের করোনা ও লক ডাউন সচেতনে মুগ্ধ হয়ে প্রশংসাপত্র দিলেন বাংলার রাজ্যপাল

কোভিড ১৯ করোনা ভাইরাস দেশ বিদেশে ছড়িয়ে পড়ে মহামারী আকার ধারণ করে কত প্রাণ কেড়ে নিয়েছে ভাবলেও গা শিউরে ওঠে। এই ভয়ঙ্কর করোনা ভাইরাস রোগের হাত থেকে মানুষকে বাঁচানোর জন্য সরকার নানাভাবে সচেতন করেছেন ।

কিন্তূ তারই মাঝে সারা রাজ্যের লোকশিল্পী বাউল দের মধ্যে শুধুমাত্র একজনই বাউল লোকশিল্পী যিনি পূর্ব বর্ধমানের খাজা আনোয়ার বেড়ের মানুষ বাংলার বাউল লোক শিল্পী স্বপন দত্ত বাউল নিজের উদ্যোগে সচেতনের দায়িত্ব ভার কাঁধে নিয়েছিলেন। সম্পূর্ণ নিজের উদ্দ্যেগে নিঃস্বার্থ ভাবে বিনাপারিশ্রমিকে জেলায় জেলায় করোনা ভাইরাস ও লক ডাউন আইন বিধি নিয়ম মানতে সচেতনের বার্তা দিয়েছিলেন বাউল গানের মাধ্যমে মানুষের মাঝে । তার নিজের লেখা নিজের সুরে করোনা ভাইরাস সচেতন ও লক ডাউন সচেতন নিয়ে বাউলগানে জেলায় জেলায় মানুষ কে মুগ্ধ করেছে ।

পূর্ব বর্ধমানের জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি আধিকারিক মাননীয় কুশল চক্রবর্তী ও জেলা পরিষদের সভাধিপতি মাননীয়া শম্পা ধারা প্ৰথমে জেলা থেকে স্বপন দত্ত বাউলের এই মানবিক মুখ দেখে তাকে সম্মানপত্র দিয়ে সম্মানিত করেন করোনা যোদ্ধা ও করোনা যুদ্ধের একজন সৈনিক সম্মানে।

এরপর বাংলার শ্রদ্ধেয় বর্তমান রাজ্যপাল মাননীয় জগদীপ ধানকার মহাশয় বাউল গানে এমন নিঃস্বার্থ ভাবে মানুষকে করোনা ভাইরাস থেকে বাঁচানোর চেষ্টা ও সচেতন দেখে শুনে মুগ্ধ হয়ে স্বপন দত্ত বাউলকে সম্মানপত্র দিয়ে সম্মানিত করেছেন । যা বাংলার কাছে গর্বের বিষয় । এবং রাজ্যপালের দেওয়া ঐ সম্মানপত্রে স্বপন বাউলের সমাজসেবা অসহায় অনাথ ও প্রতিবন্ধী ছেলেমেয়েদের নানা ভাবে সাহায্য করে সবসময় তাদের পাশে দাঁড়ানোর ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।

স্বপন বাউলের করোনা ও লক ডাউন সচেতনে মুগ্ধ হয়ে প্রশংসাপত্র দিলেন বাংলার রাজ্যপাল

মাননীয় রাজ্যপালের কাছে সম্মান ও প্রশংসা পেয়ে স্বপন দত্ত বাউল বলেন, নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আমার নিঃস্বার্থ ভাবে পথে পথে সচেতন মহামারী করোনা ভাইরাস থেকে বাঁচার উপায় আমার বাউল গানের বার্তা নিজের বর্ধমান জেলা তো বটেই এছাড়া হাওড়া, হুগলি, কলকাতা তে আমি ছুটে গেছি সচেতন করতে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় এর কাছে পুরস্কার পাওয়া কোল ডুগি আর একতারা হাতে নিয়ে ।

জনগণ আমার সচেতনের বার্তা অনেকেই শুনেছেন এবং সয়ং বাংলার রাজ্যপাল আমাকে আমার এই জনহিতকর কাজের জন্য প্রশংসা পত্র দিয়ে সম্মানিত করে আমাকে আরো অনেক অনেক উৎসাহ দিলেন আমার সমাজসেবা কে। এখানেই আমার নিঃস্বার্থ বাউলগানে সচেতনের সার্থকতা, সকলকে না পারলেও বহু মানুষকে আমার বাউলগানে করোনা ভাইরাস নিয়ে সচেতন করতে পেরেছি ।

রাজ্যপালের কাছে প্রশংসা পত্র পেয়ে আমি খুব খুশি। এর আগে প্রাপ্তন রাজ্যপাল মাননীয় কেশরী নাথ ত্রিপাঠি মহাশয় আমার বহুমুখী প্রতিভা ও সমাজ সেবা নিয়েও আমাকে সম্মানিত করে জীবনে বড় হতে উৎসাহিত করেছিলেন। আমি আমার বর্ধমান জেলা ও সারা রাজ্যের মুখ উজ্জ্বল করে চলেছি এবং বিভিন্ন রাজ্যে ও বিদেশে গিয়েও সম্মানিত হয়ে দেশের সম্মান রক্ষা করে চলেছি।

আরও পড়ুন ::

Back to top button