বিচিত্রতা

মাত্র ৫ বছর বয়সে মা হয়েছিলেন লিনা, চিকিৎসা বিজ্ঞান আজও খুঁজছে উত্তর

মাত্র ৫ বছর বয়সে মা হয়েছিলেন লিনা, চিকিৎসা বিজ্ঞান আজও খুঁজছে উত্তর

গোটা বিশ্বের ইতিহাস জুড়েই এমন কিছু ঘটনা রয়েছে যা সত্যি বলে বিশ্বাসই করতে ইচ্ছে করে না। এমন কিছু অনন্য রেকর্ড রয়েছে, যা সকলকে হতবাক করে দেয়। এরকমই এক অত্যদ্ভূত রেকর্ডের অধিকারী দক্ষিণ আমেরিকার দেশ পেরুর বাসিন্দা লিনা মেদিনা। বিশ্বের ইতিহাসে সর্বকণিষ্ঠ বয়সে মা হওয়ার রেকর্ড করেছিলেন তিনি। অবিশ্বাস্য হলেও ঘটনা হল, লিনা যখন তার প্রথম সন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন মাত্র পাঁচ বছর বয়সে!

১৯৩৩ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর পেরুর ট্রিকাপো নামে এক ছোটো শহরে জন্ম হয়েছিল তার। লিনার যখন পাঁচ বছর বয়স, তখন তার বাবা-মা লক্ষ্য করেছিলেন তার পেট হঠাৎ ফুলতে শুরু করেছে। তারা প্রথমে ভেবেছিলেন লিনার সম্ভবত পেটের কোনও রোগ হয়েছে। কিংবা তার পেটে টিউমার হয়েছে। গভীর উদ্বেগে তারা লিনাকে এক চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গিয়েছিলেন। চিকিৎসকরা বিভিন্ন রোগের জন্য ছোট্ট লিনার বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছিলেন। কিন্তু, কিছুতেই তার রোগ ধরতে পারছিলেন না।

অবশেষে, ধরা পড়ে যে লিনা গর্ভবতী, এক সন্তানের জন্ম দিতে চলেছে সে। চিকিৎসকরা এই আবিষ্কারে একেবারে হতবাক হয়ে যান। এরপর লিনাকে হাসপাতালে ভর্তি করে একদল চিকিৎসক পরীক্ষা করে এই বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছিলেন। ১৯৩৯ সালের ১৪ মে, মাত্র ৫ বছর ৭ মাস ১৭ দিন বয়সে এক পুত্র সন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন লিনা। অস্ত্রোপচার করতে হয়েছিল ডাক্তারদের। লিনা যে পুত্রের জন্ম দিয়েছিলেন সেও সুস্থই ছিল। ঘটনাচক্রে, ওই দিনটি আবার পেরুতে মাতৃ দিবস হিসাবে পালিত হয়।

আরও পড়ুন : চাকরি ছেড়ে ২০১৬ সালে ১২ হাজার টাকায় ব্যবসা শুরু, আজ এই নারী কোটিপতি

১৯৭২ সালে বিবাহ করেছিলেন লিনা। নার্সের কাজ করতেন। তার সেই সন্তান জীবিত ছিল ৪০ বছর।

কিন্তু, এত ছোট বয়সে লিনা কীভাবে গর্ভবতী হল, সেই প্রশ্নের উত্তর আজও পাওয়া যায়নি। মনে করা হয়, সম্ভবত পরিবারের বা প্রতিবেশীদের কেউ তাকে ধর্ষণ করেছিল। কিন্তু, ৫ বছর বয়সে কীভাবে সন্তান ধারণ সম্ভব তা নিয়ে রহস্য রয়ে গেছে। সাধারণ চিকিৎসা বিজ্ঞান বলে, মেয়েরা বয়সন্ধিতে না পৌঁছালে তাদের শরীরে সন্তান ধারণের প্রয়োজনীয় হরমোনই তৈরি হয় না। তাই এই ঘটনাটা ডাক্তারদের কাছে শুধু বিস্ময়কর নয়, অসম্ভব ছিল। চিকিৎসা বিজ্ঞান বিশেষজ্ঞরা আজও লিনার মাতৃত্বের ধাঁধার উত্তর খুঁজে পাননি।

সূত্র : দ্য সান ও এশিয়ানেট নিউজ

আরও পড়ুন ::

Back to top button