রাজনীতিরাজ্য

শুভেন্দু মর্যাদা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করেছেন: শোভন

শুভেন্দু মর্যাদা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করেছেন: শোভন

গত কয়েক সপ্তাহে শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। কিছুদিন আগেই মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দিয়েছেন তিনি। বিজেপির তরফে বলা হয়েছে, তাঁর জন্য গেরুয়া শিবিরের দরজা খোলা রয়েছে।

তার মধ্যেই তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ের সঙ্গে প্রাক্তন পরিবহণমন্ত্রীর হোয়াটসঅ্যাপ কথোপকথন নিয়ে চলছে জোর গুঞ্জন। নিজের রাজনৈতিক ভবিষ্যত্‍ নিয়ে এখনও কিছু জানাননি শুভেন্দু। তার মাঝেই এবার তাঁকে দরাজ সার্টিফিকেট দিলেন তৃণমূলের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা বর্তমানে বিজেপি নেতা শোভন চট্টোপাধ্যায়।

শুক্রবার বান্ধবী বৈশাখী বব্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে রাজভবনে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে যান শোভন। বৈশাখীর কলেজের কিছু সমস্যা নিয়েই কথা বলতে গিয়েছিলেন তাঁরা। রাজভবন থেকে বেরিয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে শোভনকে শুভেন্দুর বর্তমান অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন করা হলে শোভন বলেন, শুভেন্দু বহুদিনের পরীক্ষিত নেতা।

তিনি চিরকাল মর্যাদা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করেছেন। তাই তাঁর পরবর্তী সিদ্ধান্ত তিনি নিজেই নেবেন। এদিন সংবাদমাধ্যমের সামনে শোভন বলেন, ‘যে কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের দায়িত্ব নিয়ে পর্যালোচনা করা উচিত।

আরও পড়ুন: ‘কেউ দলবিরোধী কাজ করলে এখনই বের করে দিন, নির্দেশ মমতার

শুভেন্দু অধিকারী একজন রাজনৈতিক সংগঠক। ছাত্র রাজনীতি করে এসে বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে কাজ করে শুভেন্দু অধিকারী একজন পরীক্ষিত সৈনিক। মর্যাদা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করেছেন তিনি। সহকর্মী হিসেবে আমি তাঁর সঙ্গে কাজ করেছি।

রাজনৈতিক দলে একসঙ্গে কাজ করেছি। সিঙ্গুর, নন্দীগ্রাম এবং অন্যান্য বিষয়ে রাজনৈতিক আন্দোলনেও প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত ছিলাম। আজ সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে আমি মনে করি সবার নিজের অধিকার রয়েছে সিদ্ধান্ত নেওয়ার।’ রাজনৈতিক জীবনের বাইরেও অধিকারী পরিবারের সঙ্গে তাঁর ভাল সম্পর্ক রয়েছে, এই কথা মনে করিয়ে দেন কলকাতার প্রাক্তন মেয়র।

তিনি বলেন, ‘আমি ছোটবেলা থেকে শুভেন্দুকে চিনি। শিশিরদাকেও চিনি। শিশিরদা আমাকে বলত বড় ছেলের মতো। শুভেন্দু অধিকারী তাঁর মত ব্যক্ত করবেন বলে একটা নির্দিষ্ট সময় ধার্য করেছেন। কোনও রাজনৈতিক দলে প্রত্যেকে নিজের সম্মান, দৃষ্টিভঙ্গী নিয়ে পরিশ্রম করেন।

আরও পড়ুন: সোজা আঙ্গুলে ঘি না উঠলে আঙ্গুল বাঁকা করতে হবে: সৌমিত্র

জীবনের আশঙ্কা নিয়ে কাজ করেন। তাই তাঁদের সিদ্ধান্ত তাঁরাই নেবেন।’ শুভেন্দুর রাজনৈতিক ভবিষ্যত্‍ কোন খাতে বইবে তা একমাত্র তিনিই জানেন। তবে দলের সঙ্গে যে তাঁর একটা দূরত্ব তৈরি হয়েছে তা প্রকাশ পাচ্ছে।

কারণ মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দেওয়ার পরে শুক্রবার স্বাভাবিকভাবেই তৃণমূলের দলীয় সভায় উপস্থিত ছিলেন না তিনি। এই জল্পনার মাঝেই এবার শুভেন্দুর রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিয়ে প্রশংসা শোনা গেল শোভনের মুখে।

 

 

সুত্র: THE WALL

আরও পড়ুন ::

Back to top button