আন্তর্জাতিক

করোনার টিকা দেওয়া শুরু করল যুক্তরাজ্য

করোনার টিকা দেওয়া শুরু করল যুক্তরাজ্য

মঙ্গলবার (৮ ডিসেম্বর) যুক্তরাজ্যে থেকে ফাইজার-বায়োএনটেকের করোনার টিকাদান শুরু হচ্ছে। এর মধ্য দিয়ে করোনা নিয়ন্ত্রণে যুগান্তকারী সাফল্যের আশা করছে দেশটি। যারা ভ্যাকসিন নেবেন তাদের একটি আইডি কার্ড দেওয়া হবে।

মাত্র ১০ মাসেরও কম সময়ে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন আবিষ্কারের পর তা মানবদেহে ব্যবহার উপযোগী করে অভূতপূর্ব সাফল্য দেখিয়েছে ফাইজার ও বায়োএনটেক। তুর্কি বংশোদ্ভূত জার্মানির বিজ্ঞানী উগুর শাহীনের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় এই ভ্যাকসিন আলোর মুখ দেখল, যেটি যে কোনও ভ্যাকসিন উদ্ভাবনের ইতিহাসে বিরল।

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহান থেকে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর তা বিশ্বব্যাপী মহামারি রূপ নিতে পারে বলে আঁচ করতে পেরেছিলেন তুর্কি বংশোদ্ভূত জার্মানির বায়োএনটেকের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা উগুর শাহীন। করোনার ভয়াবহতা উপলব্ধি করতে পেরে চলতি বছরের জানুয়ারিতেই করোনার ভ্যাকসিন নিয়ে কাজ শুরু করেন তিনি।

মার্চ মাসে জার্মানির বায়োএনটেকের সঙ্গে করোনার ভ্যাকসিনের কর্মযজ্ঞে যুক্ত হয় মার্কিন ওষুধ উত্‍পাদনকারী প্রতিষ্ঠান ফাইজার।

এমআরএনএ ভ্যাকসিনের দুই ধরনের ভ্যাকসিনের প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের ট্রায়াল শুরু হয় মে মাসে। BNT162B2 ভার্সনের ভ্যাকসিনের কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।

আরও পড়ুন: হাসপাতালে অক্সিজেন সঙ্কটে করোনা রোগীর মৃত্যু

জুলাইয়ের শেষদিকে যুক্তরাষ্ট্র, আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল ও জার্মানিসহ বিভিন্ন দেশের ৩০ হাজার স্বেচ্ছাসেবীকে নিয়ে দ্বিতীয় ও চূড়ান্ত ধাপের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু করে ফাইজার ও বায়োএনটেক। ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে থাকা অবস্থাতেই জুলাইয়ে প্রায় ২০০ কোটি ডলারে ১০ কোটি ভ্যাকসিনের ডোজ নিতে চুক্তি করে ট্রাম্প প্রশাসন।

প্রাথমিক তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে ৯ নভেম্বর ফাইজার জানায়, বড় ধরনের কোনও সমস্যা ছাড়াই তাদের ভ্যাকসিনের ৯০ শতাংশের বেশি কার্যকারিতা পাওয়া গেছে। চূড়ান্ত ফলাফলে ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা পাওয়া যায় ৯৫ শতাংশ।

নভেম্বরের ২০ তারিখ মার্কিন খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসনের কাছে জরুরি প্রয়োজনে ব্যবহারের অনুমতি চেয়ে আবেদন করে ফাইজার। তবে যুক্তরাষ্ট্রের আগেই ২ ডিসেম্বর বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে ফাইজার ও বায়োএনটেকের টিকার অনুমোদন দেয় যুক্তরাজ্য।

চলতি বছর ৫ কোটি ভ্যাকসিন উত্‍পাদনের আশা করছে ফাইজার। ২০২১ সালের মধ্যে প্রায় ১৫০ কোটি ভ্যাকসিন উত্‍পাদন করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছে ওষুধ উত্‍পাদনকারী প্রতিষ্ঠানটি।

 

সুত্র: প্রথম কলকাতা

আরও পড়ুন ::

Back to top button