রাজনীতিরাজ্য

‘চাড্ডা নাড্ডা ফাড্ডা গাড্ডা, রোজ কেউ না কেউ চলে আসছে’: মুখ্যমন্ত্রী

'চাড্ডা নাড্ডা ফাড্ডা গাড্ডা, রোজ কেউ না কেউ চলে আসছে': মুখ্যমন্ত্রী

বৃহস্পতিবার বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জগত্‍প্রকাশ নাড্ডার কনভয়ে ইট পাথর নিয়ে হামলা হয়। ডায়মন্ডহারবার রোডে শিরাকোলের কাছে ওই ঘটনায় ভাঙচুর হয় সংবাদমাধ্যমের গাড়িও। কিন্তু সে ঘটনার দায় কার্যত বিজেপির উপরেই চাপিয়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এদিনই বিকেলে ধর্মতলার গান্ধীমূর্তির পাদদেশে কৃষকদের ধর্নামঞ্চে কৃষিবিল আইনের বিরোধিতার অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন দিদি। সেই মঞ্চ থেকে মমতা দাবি করেন, শিরাকোল-সরিষা এলাকার হামলার বিজেপিই দায়ী। এমনকি তাঁর ইঙ্গিত, প্রচার পাওয়ার জন্য এ ঘটনা একেবারে সাজানোও হতে পারে।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন, শিরাকোলে তৃণমূলের একটা প্রোগ্রাম আজ আগে থেকেই ঠিক ছিল। বিজেপি পরে কর্মসূচি ঠিক করেছে। তাঁর কথায়, ‘তোমরা প্ল্যানিং করে করোনি তো! আমি পুলিশকে বলব তদন্ত করে বের করতে সব মিথ্যে মানা যায় না। আর মানা যাবে না।’

দ্বিতীয়ত, দিদি এই হামলার দিকে প্রশ্ন তুলে বলেছেন, ‘এত সব সিআরপিএফ নিয়ে ঘুরছো, সেন্ট্রাল ফোর্স নিয়ে ঘুরছো তাহলে কী করে গাড়িতে হাত দিল? এক এক জন গুন্ডাকে পর্যন্ত আধাসেনা জওয়ান দিয়ে রেখেছো। আর তোমার পার্টির লোক যখন আর্মস নিয়ে, লাঠি নিয়ে রাস্তায় নামে তখন উল্টে রাজ্যকে দোষ দাও। রাজ্যকে কিছু জানাও না।’

শুধু তাই নয়, ওই হামলা পরিকল্পনা মাফিক বিজেপির তরফ থেকেই করা হয়েছে বলেও ইঙ্গিত করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি ক্ষোভে ফেটে পড়ে বলেন, ‘যখন কিছু না থাকে তখন ভায়োলেন্স করে বিজেপি।

আরও পড়ুন: শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে বুদ্ধদেব, আশ্বাস মুখ্যমন্ত্রীর

তার পরে বলে, ‘এই দেখো আমাকে মেরেছে।’ একটা কনভয়ে ৫০টা গাড়ি থাকবে কেন। তার মধ্যে আবার ৩০টা গাড়ি প্রেসের, ৪০টা বাইক। কেন দাঁড়িয়েছিলে রাস্তায়, কে একটা ইট মারবে আর ভিডিও তুলবে। আগে থেকে গাড়ি থেকে ভিডিও করছিলে, জানতে তোমরা যে ইট মারবে… জানতে বুঝি!’

স্পষ্টতই শিলিগুড়িতে বিজেপির উত্তরকন্যা অভিযানের অশান্তির দিকে ইঙ্গিত করেন তিনি। সেখানে পুলিশের গুলিতে উলেন রায় নামের এক বিজেপি কর্মীর মৃত্যুর অভিযোগ ওঠার পরে তদন্ত করে জানা যায়, মিছিল থেকেই চলেছিল পেলেট গান। তাতেই মারা গেছেন ওই ব্যক্তি।

আজকের হামলাও বিজেপি নিজেই আয়োজিত করেছে বলে দাবি করেন মমতা। সেই সঙ্গেই তিনি বলেন, ‘গতবার হেস্টিংসে কী হয়েছিল, তোমাদের লোক ছিল। নিজেদের লোক দিয়ে নাটক করেছো।

ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভেঙেছিল কারা, মনে পড়ে? ইশ্বরচন্দ্রের মূর্তির মতো প্ল্যান করে সবকিছু করোনি তো আজ!’ অর্থাত্‍ তিনি বারবারই ইঙ্গিত করতে চান, বিজেপি নিজেই পরিকল্পনা করে ঘটিয়েছে আজকের অশান্তি।

পর্যবেক্ষকরা অনেকেই বলছেন, রাজ্যের বুকে এত বড় একটা হামলার ঘটনায় তার নিন্দা না করা, উল্টে অন্য পক্ষকে দোষ চাপানো—এমনটা একেবারেই মুখ্যমন্ত্রীর মতো কাজ নয়। এতে বরং রাজ্যের আইনি বিশৃঙ্খলাকেই প্রশ্রয় দেওয়া হয়।

 

সুত্র: THE WALL

আরও পড়ুন ::

Back to top button