রাজ্য

বিজেপি প্রধানের কনভয়ে হামলায় কেন্দ্রকে রিপোর্ট রাজ্যপালের

বিজেপি প্রধানের কনভয়ে হামলায় কেন্দ্রকে রিপোর্ট রাজ্যপালের

পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় বাংলায় আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে রিপোর্ট পাঠালেন। বিজেপি প্রধান জেপি নাড্ডার কনভয়ে হামলার পর বৃহস্পতিবার রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছিলেন শাহ।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী রাজ্য সরকারের কাছ থেকেও রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন। ডায়মণ্ডহারবারে যাওয়ার পথে নাড্ডার কনভয়ে ইঁট, পাথর, লাঠি নিয়ে হামলা হয়। অমিত শাহ এই হামলার ঘটনাকে সরকার-পোষিত হামলা বলে অভিযোগ করেছেন। বিজেপির অভিযোগ, হামলা চালিয়েছিল তৃণমূলের সমর্থকরা।

১৯ অথবা ২০শে ডিসেম্বর কলকাতায় আসতে পারেন অমিত শাহ বলে সূত্রের খবর। হিংসার ঘটনায় বিজেপি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারকে চরম আক্রমণের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে বিজেপি।

মুখ্যমন্ত্রী বিজেপিকে অভিযুক্ত করেছেন সাজানো হামলার ঘটনার জন্য এবং তার দলের কর্মীদের মিথ্যে অভিযোগে অভিযুক্ত করার জন্য। মমতা দাবি করছেন, রাজ্যে আসন্ন নির্বাচনের জন্য এটা একটি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের অংশ।

নাড্ডার কনভয়ে হামলা চালানো হয় যখন তিনি কর্মী সম্মেলনে ডায়মণ্ডহারবার যাচ্ছিলেন। যে লোকসভা কেন্দ্রটি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের।

আরও পড়ুন: কৈলাস বিজয়বর্গীয়র গাড়িতেও হামলার অভিযোগের তীর তৃণমূলের দিকে

ভিডিওতে দেখা যায় পাথর ছুঁড়ে গাড়ির কাঁচ ভাঙা হয়। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল সমর্থকরা পাথর, লাঠি ও রড নিয়ে হামলা করে। এতে বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় ও মুকুল রায় আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ।

অমিত শাহ টুইট করেছিলেন, বাংলা তৃণমূলের শাসনে স্বৈরাচার, বিশৃঙ্খলা ও অন্ধকারের রাজত্বে পরিণত হয়েছে। তৃণমূলের শাসনে বাংলায় রাজনৈতিক হিংসা যেভাবে প্রাতিষ্ঠানিক হয়ে উঠেছে ও চরমে পৌঁছেছে তা দুঃখের ও আশঙ্কার।

বিধানসভা নির্বাচনের ৬ মাস আগে বাংলায় রাজনৈতিক হিংসা বেড়েই চলেছে। জানুয়ারি থেকে এখনও পর্যন্ত ৪০ জন নিহত হয়েছেন। বিজেপির দাবি, অর্ধেকেরও বেশি তাদের সমর্থক।

তৃণমূলের দাবি ১৯৯৮ থেকে তাদের ১০০০এরও বেশি কর্মী রাজনৈতিক হিংসার শিকার হয়েছেন।

 

সুত্র: প্রথম কলকাতা

আরও পড়ুন ::

Back to top button