দক্ষিণ ২৪ পরগনা : যোগদান মেলা কর্মসূচির আয়োজন হয়েছিল। এই যোগদান মেলা কে কেন্দ্র করে বিজেপির মথুরাপুর সাংগঠনিক জেলার কয়েক হাজার নেতাকর্মীদের দেখা মিলল।
বিজেপির মথুরাপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি দীপঙ্কর জানার নেতৃত্বে এই কর্মসূচি পালিত হয়।
প্রধান বক্তা হিসেবে আসেন সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয়, সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায়, বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পান্ডা মথুরাপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি দীপঙ্কর জানা, বিজেপি রাজ্য স্তরের নেতা রাকেশ সিং থেকে শুরু করে এক ঝাঁক বিজেপি তারকা। কৈলাস বিজয়বর্গীয় মঞ্চ থেকে তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন।
আরও পড়ুন : ১৯ ডিসেম্বর শুভেন্দুর জেলা পূর্ব মেদিনীপুরে সভা করতে পারেন অমিত শাহ
তিনি বলেন গত ১০ ডিসেম্বর শিরাকোলে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার কনভয়ের উপরে মমতা ব্যানার্জির গুন্ডাবাহিনী বর্বরোচিত অতর্কিত পূর্ব পরিকল্পিত হামলা চালায়। এই হামলার প্রতিবাদে সারা দেশজুড়ে বিজেপি পাল্টা বিক্ষোভ কর্মসূচি ও পথ অবরোধ পালন করে। মমতা ব্যানার্জির পায়ের তলার মাটি সরে গেছে। মমতা ব্যানার্জির দল ছেড়ে প্রতিদিন প্রতি নিয়ত অসংখ্য তৃণমূল নেতা-কর্মী বিজেপিতে যোগদান করছে। তাই পিসি ভাইপো ভয় পেয়ে গেছে। এই হামলায় বলে দেয় ২০২১ এ মমতা ব্যানার্জি গদিচ্যুত হবে। আর সেটা প্রমাণ করবে বাংলার মানুষ বিধানসভা ভোটে।
আমফানে দক্ষিণ সুন্দরবন তথা আরো চারটি জেলা মিলে নরেন্দ্র মোদি ২২ শ কোটি টাকা বাংলা কে অনুদান দেন। কিন্তু মমতা ব্যানার্জি ও তার সরকার এবং তার তৃণমূল দলের ভাইয়েরা সেই টাকা লুটপাট করে খেয়ে নিয়েছে। গরিবদের কুড়ি হাজার কেন একটা ত্রিপল ও মেলেনি।
তাই আগামী বিধানসভায় বাংলার গরিব মানুষের স্বার্থে এই চালচোর, ত্রিপল চোর মমতা ব্যানার্জির তৃণমূল সরকারকে উৎখাত করে ফেলে দেওয়ার আহ্বান জানায় কৈলাস বিজয়বর্গীয়।
আরও পড়ুন : দুপয়সার সাংবাদিক মন্তব্যের বিরুদ্ধে স্বপন দত্ত বাউলের প্রতিবাদ
দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী পশ্চিমবঙ্গে আসলেই মমতা ব্যানার্জি শুধু চিৎকার করে বহিরাগত বহিরাগত।
বাংলার মানুষ বলবেন নরেন্দ্র মোদী বহিরাগত কিনা। মমতা ব্যানার্জি শুধুমাত্র ভেবে নিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের মালিকানা একমাত্র তাঁর এবং তাঁর ভাইপোর হাতে।