রাজনীতিরাজ্য

‘রাত জেগে কাটমানির কালো টাকা লুকিয়ে রাখেন তৃণমূল নেতারা: সায়ন্তন বসু

'রাত জেগে কাটমানির কালো টাকা লুকিয়ে রাখেন তৃণমূল নেতারা: সায়ন্তন বসু

নদিয়ার কৃষ্ণনগরে এসে জেলা নেতৃত্ব ও দলীয় কর্মী সমর্থকদের নিয়ে চায়ে পে চর্চায় যোগ দেন বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু। বুধবার সকালে কৃষ্ণনগর শক্তিনগর গার্লস হাই স্কুল সংলগ্ন এলাকা পরিদর্শনের পাশাপাশি চা-চক্র কর্মসূচী পালন করেন তিনি।চায়ে পে চর্চায় যোগ দিয়ে তৃণমূল নেতাকর্মীদের চাল চোর, ডাল চোরের সঙ্গে তুলনা করেন সায়ন্তন বসু। তিনি বলেন, তৃণমূল নেতারা ভোরবেলায় উঠতে পারেন না, কারণ সারা রাত ধরে তাঁরা সাধারণ মানুষের বাড়িতে উঁকিঝুঁকি মারেন চালডাল চুরি করার জন্য।

পাশাপাশি রাত জেগে কাটমানির কালো টাকা লুকিয়ে রাখার পরিকল্পনা করেন তাঁরা। সেই কারণেই ভোরবেলায় উঠতে পারেন না তৃণমূল নেতারা, বলে কার্যত উপহাস করেন সায়ন্তন বসু। তিনি বলেন, ‘সকালে উঠতে দেরি হয়ে যায় কী করে করবে ১২টার সময় উঠে আর চা চক্র করা যায়’। ‘আমরা সকাল সকাল উঠি’। কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ‘কারন চাল চোর চুরি করে সেই চাল কোথায় লুকাবো, চিটফান্ডের টাকা চুরি করে সেই টাকা কোথায় লুকাব এই সব চিন্তা আমাদের মাথায় নেই’। ‘যখনই শুয়ে পড়ি ঘুমিয়ে পড়ি কিন্তু তাদের এসব চিন্তা করতে করতে ৪টে ৫টা বেজে যায়।

১২টার সময় ঘুম থেকে উঠে আর কোথায় চা চক্র করবে।’ পাশাপাশি তৃণমূলের বর্ষীয়ান নেতাদের সম্পর্কে সায়ন্তন বসু বলেন, ‘বর্ষীয়ান নেতারা কী করবেন বানপ্রস্থয় যাবেন না অন্য কিছু করবেন তাদের বিষয়’। ‘কিন্তু কালীঘাট প্রাইভেট লিমিটেড কম্পানিতে পিসি আর ভাইপো ছাড়া আর কেউ থাকবেন বলে মনে তো হচ্ছেনা’ বলেও মন্তব্য করতে ছাড়েন না সায়ন্তন বসু। পাশাপাশি কটাক্ষ করে তিনি আরও বলেন, ‘মুষল পর্ব চলছে মুষল পর্বের পারে অক্ষত অবস্থায় দুজনই থাকবেন ওই শিবিরে। পিসি আর ভাইপো। আর কাউকে খুঁজে পাওয়া যাবে বলে মনে হয় না।

সবাই দল ছেড়ে পালিয়ে যাবে। মুষল পর্বের শেষে কৌরব পক্ষের শিবিরে যা হয়েছিল সেটাই চলবে। গান্ধারীর মত অবস্থা পিসিমণির হবে।’ অন্যদিকে, তাদের দলে যোগ দেওয়ার বিষয় তার মন্তব্য, ‘দুর্নীতিগ্রস্ত মানুষ দলে এলে আসতে পারেন তাদের দায়িত্ব দেবনা তাদের আমরা রাজনৈতিক গুরুত্ব দেবনা।

আরও পড়ুন: বিধায়ক হিসাবে আজই শুভেন্দুর ইস্তফা?

পার্টিতে যে কেউ আসতে পারে কিন্তু কাউকে গুরুত্ব দেওয়া দায়িত্ব দেওয়া কাজে লাগানো এটা ব্যক্তির প্রফাইলের উপর নির্ভর করবে’। বহিরাগত বিষয় তিনি বলেন, ‘সারাজীবন বাংলাতে আছি দিলীপ ঘোষ সারাজীবন বাংলাতে আছেন বহিরাগত কোথা থেকে হব। রাহুল সিনহা সারাজীবন বাংলাতে আছেন মুকুল রায় সারাজীবন বাংলাতে আছেন।

পাশাপাশি তিনি বলেন, ‘তৃণমূল নেতা যা বলেছেন যে বিহার থেকে এসে কেউ নির্বাচনে বাংলায় জেতাতে পারবেনা এটার সঙ্গে তিনি একমত।’ কিন্তু ভারতীয় জনতা পার্টি ও তৃণমূলের পার্থক্য হিসেবে তিনি বলেন, ‘বিজেপি হল সর্বভারতীয় দল তার একটা নেতৃত্ব আছে তৃণমূল কংগ্রেসের মত খুচরো দল নয়।’ পিকে কে কটাক্ষ করে সায়ন্তন বসু বলেন, ‘আমরা কাউকে সাড়ে পাঁচশো কোটি টাকা দিয়ে বাইরে থেকে নিয়ে আসিনি। ওনারা সাড়ে পাঁচশো কোটি টাকা দিয়ে বাইরে থেকে একজনকে নিয়ে এসেছেন তৃণমূলকে জেতানোর জন্য।

ভোটে জিততে পারবেন না। আমরা ক্ষমতায় এসে ওনার থেকে সাড়ে পাঁচশো কোটি টাকা উসুল করব করে তৃণমূলকে না জেতাতে পারার জন্য এবং সেই টাকা বাংলার মানুষের মধ্যে বিলিবণ্টন করে দেব।’ পাশাপাশি, তৃণমূল নেতৃত্বের উদ্দেশ্যে দীর্ঘ আট বছর ক্ষমতায় রয়েছে তৃণমূল সরকার কৃষ্ণনগরের সাংসদ, বিধায়ক, জেলা পরিষদ, পৌরসভা সবকিছু তৃণমূলের দখলে হলেও বিগত দিনে শহরে কোন উন্নয়নের কাজ হয়নি বলে এইদিন শহরের রাস্তাঘাট ও পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি দেখে দাবি করেন সায়ন্তন বসু।

পূর্বে বিজেপি নেতা জুলু বাবু ক্ষমতায় থাকাকালীন তিনি শহরের মানুষের জন্য যা উন্নয়ন করে গিয়েছিলেন তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর তার উপর রঙের প্রলেপটাও লাগায়নি বলেও চা চক্র থেকে তোপ দাগেন সায়ন্তন বসু। পাশাপাশি সরকারে এলে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি নারী সুরক্ষায় জোর দেব বলেও মন্তব্য করেন সায়ন্তন বসু। পাশাপাশি ৪৫ লক্ষ শ্রমিক যারা বাংলার বাইরে কাজ করছে তাদেরকে বাংলার মাটিতে তারা ফিরিয়ে আনবেন বলেও জানান সায়ন্তন বসু। চা চক্র থেকে কর্মসংস্থানের কথাও বলেন তিনি।

 

সুত্র: প্রথম কলকাতা

 

আরও পড়ুন ::

Back to top button