রাজ্য

মেলার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে গঙ্গাসাগর যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

মেলার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে গঙ্গাসাগর যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় - West Bengal News 24
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

করোনা আবহে গঙ্গাসাগর মেলার প্রস্তুতি সরজমিনে খতিয়ে দেখতে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী ৮ ও ৯ জানুয়ারি গঙ্গাসাগরেই থাকবেন তিনি। তার আগে ৭ জানুয়ারি নামখানাতে প্রশাসনিক বৈঠক করবেন মুখ্যমন্ত্রী।

হাতে গোনা আর কয়েকটা দিনের অপেক্ষা। তার পরই এসে পড়বে মকরসংক্রান্তির মাহেন্দ্রক্ষণ। প্রতি বছর এই তিথিতে দেশের লক্ষ লক্ষ মানুষ ভিড় জমান সাগরদ্বীপে, কপিলমুনির আশ্রমে। কিন্তু এ বার পরিস্থিতি আলাদা। করোনার কথা মাথায় রেখে তাই বেশ কিছু নতুন উদ্যোগ নিয়েছে জেলা প্রশাসন।

৯ জানুয়ারি থেকে শুরু হতে চলেছে গঙ্গাসাগর মেলা। চলবে ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত। কোভিড পরিস্থিতিতে চলতি বছর বিশেষ ব্যবস্থা নিচ্ছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন। কী কী ব্যবস্থা নিতে হবে, তা নির্দেশিকা দিয়ে ইতিমধ্যেই জানিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর।

সেই মতো ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন। প্রতিবারের মতো এবারও গঙ্গাসাগর মেলায় যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ৮ ও ৯ জানুয়ারি গঙ্গাসাগরেই থাকবেন।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এ বার মেলায় ৫টি অস্থায়ী হাসপাতাল থাকছে। সবমিলিয়ে শয্যা থাকছে ৬৫৮। প্রাথমিক চিকিত্‍সার জন্য বুথের সংখ্যা ৩৮। এর পাশাপাশি গতবারের চেয়ে চিকিত্‍সক ও নার্সের সংখ্যাও বাড়ানো হচ্ছে।

গঙ্গাসাগর মেলার মূল প্রবেশপথে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। থাকছে র‌্যাপিড পরীক্ষার ব্যবস্থা। এর পাশাপাশি থাকছে কোয়ার সেন্টার ও সেফ হোম। এই প্রথম মৃতদেহ সত্‍কারের জন্য কবরস্থান ও চুল্লির ব্যবস্থাও থাকছে মেলায়।

আরও পড়ুন: নাম না করে রাজ্যের দুই মন্ত্রীকে বার্তা দিলেন শুভেন্দু?বিস্তারিত!

জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, অতিমারি কারণেই ‘ই-দর্শন’ এবং ‘ই-স্নান’-এর উপর সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। অনলাইনে অর্ডার করলে ৩ দিনের মধ্যে বাড়িতে পৌঁছে যাবে গঙ্গাজল, প্রসাদ, ফুল-সহ বিভিন্ন সামগ্রী। তা বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার জন্য একটি ক্যুরিয়র সংস্থার সঙ্গে হাত মিলিয়েছে জেলা প্রশাসন।

ইতিমধ্যেই চালু করা হয়েছে ‘অতিথি পথ’ নামে একটি অ্যাপ। যার মাধ্যমে ‘ই-দর্শন’-এর পাশাপাশি মিলবে প্রসাদও। ট্রেন, বাস, ভেসেলের সময়সূচি, সাগর মেলা সম্পর্কিত নানা তথ্য এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থার তথ্যও পাওয়া যাবে এই অ্যাপে।

শুধু অ্যাপই নয় প্রশাসনের তরফে বিভিন্ন পোর্টাল, ইউটিউব চ্যানেল, ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রামেও সরাসরি পুজো এবং স্নান সম্প্রচার করা হবে বলে জানানো হয়েছে।

করোনা সংক্রমণ এড়াতে মেলার প্রত্যেকটি প্রবেশ পথ এবং যাত্রাপথের ঘাটগুলিতে বসানো হবে স্যানিটাইজার টানেল। মেলায় প্রবেশের আগে রয়েছে প্রত্যেক যাত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থাও।

কোনও ব্যক্তির দেহের তাপমাত্রা বেশি থাকলে ‘অ্যান্টিজেন টেস্ট’ করানোর পরিকল্পনাও রয়েছে। প্রয়োজনে ‘আরটিপিসিআর টেস্ট’-ও করানো হতে পারে। এ ছাড়াও থাকছে সেফ হোম এবং হাসপাতালের ব্যবস্থা।

জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, অতিমারি কারণেই এবার ‘ই-দর্শন’ এবং ‘ই-স্নান’-এর উপর সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। অনলাইনে অর্ডার করলে ৩ দিনের মধ্যে বাড়িতে পৌঁছে যাবে গঙ্গাজল, প্রসাদ, ফুল-সহ বিভিন্ন সামগ্রী।

তা বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার জন্য একটি ক্যুরিয়র সংস্থার সঙ্গে হাত মিলিয়েছে জেলা প্রশাসন। ইতিমধ্যেই চালু করা হয়েছে ‘অতিথি পথ’ নামে একটি অ্যাপ। যার মাধ্যমে ‘ই-দর্শন’-এর পাশাপাশি মিলবে প্রসাদও।

ট্রেন, বাস, ভেসেলের সময়সূচি, সাগর মেলা সম্পর্কিত নানা তথ্য এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থার তথ্যও পাওয়া যাবে এই অ্যাপে। শুধু অ্যাপই নয় প্রশাসনের তরফে বিভিন্ন পোর্টাল, ইউটিউব চ্যানেল, ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রামেও সরাসরি পুজো এবং স্নান সম্প্রচার করা হবে বলে জানানো হয়েছে।

 

সুত্র: কলকাতা ২৪*৭

আরও পড়ুন ::

Back to top button