বিচিত্রতা

‘কাউকেই ঠকাতে পারবো না’, দুই প্রেমিকাকে বিয়ে করলেন যুবক!

‘কাউকেই ঠকাতে পারবো না’, দুই প্রেমিকাকে বিয়ে করলেন যুবক! - West Bengal News 24

অনেক পুরুষই বিয়ের আগে একসঙ্গে একাধিক নারীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক চালিয়ে যান। আবার ধরা না পড়া পর্যন্ত সেসব সম্পর্ক গোপনই রাখেন তারা।

এভাবে মেয়েদের সঙ্গে প্রতারণা করেন অনেকে। কিন্তু দুই প্রেমিকাকে একই সঙ্গে বিয়ে করার ঘটনা সত্যিই বিরল। গত রোববার (৩ জানুয়ারি) এমন বিরল ঘটনাই ঘটেছে ভারতের ছত্তিশগড় রাজ্যে।

মাওবাদী প্রভাবিত বস্তার এলাকার চন্দু মুরিয়া তার দুই প্রেমিকা সুন্দরী কাশ্যপ এবং হাসিনা বাঘেল-দু’জনকে একই দিনে, একই মন্ডপে বিয়ে করেছেন সব সামাজিক রীতি মেনে।

গত রোববার বিয়ের পরে চারদিন ধরে চলেছে উৎসব। তবে চন্দু এবং হাসিনার পরিবার বিয়েতে উপস্থিত থাকলেও সুন্দরীর বাড়ি থেকে কেউ আসেননি।

আরও পড়ুন : শাড়ি পরে একের পর এক ভল্ট দিচ্ছেন মহিলা! ভাইরাল ভিডিও

মুরিয়া জনজাতির যুবক চন্দুর বয়স ২৪। তার থেকে বছর তিনেকের ছোট বড় স্ত্রী সুন্দরী। আর ছোট স্ত্রী হাসিনা চার বছরের ছোট। কিছুটা জমিজমা আছে চন্দুর তাতে চাষাবাদ করেন তিনি।

তিনি বলেন, বছর তিনেক আগে সুন্দরীদের গ্রামে গিয়েছিলাম কাজে। সেখানেই ওর সঙ্গে আলাপ হয়। তারপরে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল মোবাইল ফোনের মাধ্যমে। সেখান থেকে প্রেম হয় আমাদের মধ্যে। তার বছর খানেকের মধ্যে হাসিনা আমাদের গ্রামে এসেছিল কোনও বিয়ে বাড়িতে। হাসিনাই আমাকে নম্বর দিয়ে ফোন করতে বলে। আমি ভেবেছিলাম বন্ধুত্ব করতে চাইছে। কিন্তু ধীরে ধীরে বুঝতে পারলাম শুধু বন্ধুত্বতেই আর থেমে থাকছে না। একদিন তো বলেই দিল যে সে আমার প্রেমে পড়েছে। এতে আমি পড়ি উভয় সংকটে। একদিকে সুন্দরীর সঙ্গে পুরনো প্রেম, আর অন্যদিকে জীবনে নতুন আগমন ঘটেছে হাসিনার। একদিন সুন্দরীকে জানিয়ে দিই বিষয়টা।

তিনি আরও বলেন, প্রথমে হাসিনার ব্যাপারে জেনে সুন্দরীর খারাপ লেগেছিল। কিন্তু তারপরে বললো, আমি নিজেই হাসিনার সঙ্গে কথা বলতে চাই। মোবাইলে হাসিনার সঙ্গে কথা বলে বেশ ভালো লেগেছে বলে জানায় সুন্দরী। তারা দু’জনে দু’জনকে বোন বলে ডাকতে শুরু করে। পরে দু’জনের দেখাও করিয়ে দিই। এরই মধ্যে হাসিনা তার গ্রাম ছেড়ে আমার গ্রামে চলে আসেন একসঙ্গে থাকবেন বলে। সেটা অবশ্য সুন্দরীর পরিবার মানতে পারেনি। তাই তারা সুন্দরীকে ফিরিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন।

আরও পড়ুন : এই গ্রামের অর্ধেক নারীই সুন্দরী ও কুমারী, পাত্রের অভাবে হচ্ছে না বিয়ে!

চন্দু মুরিয়া বলেন, একদিন সুন্দরী বাড়ি থেকে পালিয়ে আমাদের বাড়িতে চলে আসে। সেই থেকে আমরা তিনজনেই একসঙ্গে থাকছিলাম আমাদের বাড়িতে। বাবা-মা আর পরিবারের অন্যান্যরাও আছেন। আমার মা-ই একদিন বলেন যে বিয়ে করে নিতে। সমাজ থেকেও বলা হয়। কিন্তু আমি কিছুটা দ্বিধায় ছিলাম। সুন্দরী এবং হাসিনা অবশ্য এক কথায় রাজি হয়ে গিয়েছিলেন স্বামীকে ভাগাভাগি করে নিতে। কিন্তু দ্বিধা ছিল আমার। দু’জনকে বিয়ে করলে বন্ধুরা হাসাহাসি করবে! একসঙ্গে যখন গ্রামে বের হবো, তখন লোকে কী বলবে, এসব ভাবনা কাজ করছিল আমার মাথায়। কিন্তু ওরা দু’জন রাজি হয়ে যাওয়ায় আমিও আর না করিনি।

সূত্র: বিবিসি বাংলা

আরও পড়ুন ::

Back to top button