আন্তর্জাতিক

নিখোঁজ বিমানের ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার, সব আরোহীর মৃত্যুর আশঙ্কা

নিখোঁজ বিমানের ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার, সব আরোহীর মৃত্যুর আশঙ্কা - West Bengal News 24

ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তা থেকে ৬২ জন যাত্রী নিয়ে শনিবার নিখোঁজ হয়ে যাওয়া বিমানটির ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করা হয়েছে। রবিবার ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি জাকার্তা পুলিশ সূত্রকে উদ্ধৃত করে এ তথ্য জানিয়েছে। ওই বিমানে থাকা সব আরোহীর মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করছে ইন্দোনেশীয় কর্তৃপক্ষ।

সিরিউয়িজায়া এয়ারের বোয়িং ৭৩৭ বিমানটি জাকার্তা থেকে পশ্চিম কালিমানতান প্রদেশের পন্তিয়ানাক-এ যাওয়ার পথে নিখোঁজ হয়ে যায়। ফ্লাইট তদারকি ওয়েবসাইট ফ্লাইটরাডার২৪.কম জানিয়েছে, এক মিনিটেরও কম সময়ের মধ্যে বিমানটি তিন হাজার মিটার উচ্চতা হারায়।

দেশটির পরিবহন মন্ত্রণালয় জানায় স্থানীয় সময় দুইটা ৪০ মিনিটে বিমানটির সঙ্গে সর্বশেষ যোগাযোগ করা সম্ভব হয়।

ভারী বৃষ্টির মধে উড্ডয়নের চার মিনিটের মাথায় ২৬ বছরের পুরনো বিমানটি হারিয়ে যায়। ইন্দোনেশিয়ার সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ এজেন্সি শনিবার জানিয়েছে, জাকার্তার উত্তর পশ্চিমের সমুদ্রে বিমানের ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে। এরপরই ওই এলাকায় তল্লাশি জোরদার করা হয়েছে।

এএফপির প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের কোনো কারণ জানানো হয়নি। কর্তৃপক্ষ তল্লাশি ও উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে। তবে কোনো যাত্রী বেঁচে আছেন বলে তারা আশা করছেন না।

আরও পড়ুন: অর্ধশতাধিক যাত্রী নিয়ে ইন্দোনেশিয়ার বিমান নিখোঁজ

জাকার্তা পুলিশের মুখপাত্র ইয়ুসরি ইউনুস মেট্রো টিভিকে বলেন, আজ সকালে তারা দুটি ব্যাগ উদ্ধার করেছেন। এর একটি ছিল যাত্রীর। আরেকটি ধ্বংসাবশেষ। যুদ্ধজাহাজ, হেলিকপ্টার ও ডুবুরিদের মাধ্যমে উদ্ধারকাজ চালানো হচ্ছে।

কর্তৃপক্ষ বলছে, উড়োজাহাজের আরোহীদের মধ্যে ১০ জন শিশু ছিল। তারা সবাই ইন্দোনেশীয়। পনতিয়ানা বিমানবন্দরে উড়োজাহাজের আরোহীদের উদ্বিগ্ন স্বজনেরা গতকাল রাত থেকে অপেক্ষায় রয়েছেন। তাদের একজন ইয়ামান জাই বলেন, উড়োজাহাজে তার স্ত্রী ও তিন সন্তান ছিল। স্ত্রী তাকে সন্তানের একটি ছবি পাঠিয়েছিলেন।

উদ্ধারকারী কর্মকর্তারা বলছেন, তারা সাগর ও আকাশপথে উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাবেন। উড়োজাহাজের অনুসন্ধানে সোনার রাডার ব্যবহার করা হচ্ছে।

ঘটনাস্থলে থাকা এএফপির সাংবাদিক জানান, ডুবুরিরা বিধ্বস্ত হয়েছে—এমন সন্দেহে তিনটি জায়গা কমলা রঙের বেলুন দিয়ে চিহ্নিত করে রেখেছে। নৌবাহিনী, পুলিশের শতাধিক সদস্য উদ্ধারকাজে নিয়োজিত রয়েছেন।

আরও পড়ুন ::

Back to top button