আন্তর্জাতিক

বিদ্যুৎ বিপর্যয়ে অন্ধকারে ডুবে গেলো পাকিস্তান

বিদ্যুৎ বিপর্যয়ে অন্ধকারে ডুবে গেলো পাকিস্তান - West Bengal News 24

বিদ্যুৎ বিপর্যয়ে শনিবার পুরো রাত অন্ধকারে ডুবে যায় পাকিস্তান। শনিবার স্থানীয় সময় রাত পৌনে ১২টার দিকে হঠাৎ করেই ব্ল্যাকআউট হয়ে যায় গোটা দেশ।

পাকিস্তানের কয়েকটি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, বিদ্যুৎ সংযোগ চলে গেছে করাচি, লাহোর, ইসলামাবাদ, রাওয়ালপিন্ডি, পেশোয়ার, মুলতান, কোয়েটা, ফয়সলাবাদ, মুজফ্ফরগড়, নারোয়াল, ভাক্কার, কবিরওয়ালা, খানেওয়ালা, ভাওয়ালপুর এবং সুক্কুরসহ দেশের ১১৪ শহরে। খবর বিবিসি ও জিও নিউজের।

বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে বালুচিস্তানের ২৯ জেলা। এই বিপর্যয়ের জেরে মোবাইল ও ইন্টারনেট পরিষেবাও থমকে গেছে। এমনকি জিন্নাহ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরেও কোনো বিদ্যুৎ নেই।

৫০০ কেভিএ ট্রান্সমিশন লাইনে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হওয়ার কারণে পাকিস্তান জুড়ে ব্ল্যাকআউট চলছে।

ইসলামাবাদের ডেপুটি কমিশনার হামজা শফাকত জানিয়েছেন, ন্যাশনাল ট্রান্সমিশন ডেসপ্যাচ কোম্পানির (এনটিডিসি) বিদ্যুৎ সংযোগ ব্যবস্থায় প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে এই বিপর্যয়ের মুখে পড়তে হয়েছে পাকিস্তানের বড় বড় শহরগুলোকে।

আরও পড়ুন : ১০ দিন ধরে মেলানিয়ার ‘খোঁজ নেই’

পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে কিছুটা সময় লাগতে পারে বলেও জানিয়েছেন তিনি। তারা আশা করছেন রোববার দুপুরের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে পারে।
পাকিস্তানের বিদ্যুৎমন্ত্রী ওমর আইয়ুব শনিবার রাতেই টুইট করে জানিয়েছেন, বিদ্যুৎ সঞ্চালন ব্যবস্থায় হঠাৎ করেই সমস্যা দেখা দেওয়ায় দেশজুড়ে ব্ল্যাকআউটের মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

কী কারণে এ ঘটনা ঘটল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মীরা সংশ্লিষ্ট জায়গাগুলোতে কাজ শুরু করেছেন। যত দ্রুত সম্ভব বিদ্যুৎ সংযোগ স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে। দেশবাসীকে এই সমস্যার জন্য ধৈর্য ধরার আহ্বানও জানিয়েছেন আইয়ুব।

পাকিস্তান ব্ল্যাকআউট হওয়ার পর পরই টুইটারে #ব্ল্যাকআউট কথাটি ট্রেন্ডিং হয়েছে। ২০ হাজার টুইট হয়েছে বিষয়টি নিয়ে।

আরও পড়ুন : ‘করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ভয়ে এই পথ বেছে নিলাম’

এর আগে ২০১৫ সালে ব্ল্যাকআউট হয়েছিল পাকিস্তান। রাজধানীর ইসলামাবাদসহ দেশের ৮০ শতাংশ অঞ্চল অন্ধকারে ডুবে গিয়েছিল।

ন্যাশনাল গ্রিড বসে যাওয়ার কারণে সেই ভয়ানক বিপর্যয়ের মুখে পড়তে হয়েছিল গোটা পাকিস্তানকে।

আরও পড়ুন ::

Back to top button