আন্তর্জাতিক

‘সশস্ত্র বিক্ষোভের’ পরিকল্পনা করছে ট্রাম্পপন্থীরা

‘সশস্ত্র বিক্ষোভের’ পরিকল্পনা করছে ট্রাম্পপন্থীরা - West Bengal News 24

জো বাইডেন পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবার আগে ট্রাম্প সমর্থক ও উগ্র-দক্ষিণপন্থী গোষ্ঠীগুলো পুরো যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে ‘সশস্ত্র বিক্ষোভ’ করতে পারে বলে সতর্ক করেছে তদন্ত সংস্থা এফবিআই। আগামী ২০ শে জানুয়ারি নতুন প্রেসিডেন্টের অভিষেকের আগেই ওয়াশিংটন ডিসি এবং ৫০টি অঙ্গরাজ্যের সবগুলোর রাজধানীতে সমাবেশ করার পরিকল্পনা করছে বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠী। বিবিসি।

ওয়াশিংটনে ক্যাপিটল ভবনে ট্রাম্প-সমর্থকদের হামলার পর থেকেই জো বাইডেনের শপথ গ্রহণকে সামনে রেখে নিরাপত্তা জোরদার করা হচ্ছে। ওই ঘটনায় পুলিশ সহ ৫ জন নিহত হয়। নিরাপত্তা কর্মকর্তারা অবশ্য বলছেন, ৬ই জানুযারির মতো নিরাপত্তা বেষ্টনী লঙ্ঘনের ঘটনা আর ঘটতে পারবে না।

ট্রাম্প-সমর্থক এবং উগ্র-ডানপন্থী অনলাইন নেটওয়ার্কগুলো বিক্ষোভের একাধিক তারিখ ঘোষণা করেছে। এর একটিতে বলা হয়, আগামী ১৭ই জানুয়ারি আমেরিকার বিভিন্ন শহরে “সশস্ত্র বিক্ষোভের” ডাক দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া নতুন প্রেসিডেন্টের অভিষেকের দিন অর্থাৎ ২০শে জানুয়ারি ওয়াশিংটন ডিসিতে একটি পদযাত্রা হবে।

আরও পড়ুন : সরকারের নতুন স্কিমে প্রতি মাসে মিলবে ৯২৫০ টাকা, জানুন কীভাবে?

এফবিআইয়ের একটি অভ্যন্তরীণ বুলেটিন যুক্তরাষ্ট্রের এবিসি নিউজ সহ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। এতে সতর্কবাণী দেয়া হয়, একটি গোষ্ঠী সারা দেশে ফেডারেল, রাজ্য ও স্থানীয় আদালত ভবনগুলোতে ‘স্টর্মিং’ বা জোর করে ঢুকে পড়ার আহ্বান জানিয়েছে। এতে বলা হয়, ট্রাম্পকে কোনভাবে মেয়াদ শেষের আগেই সরিয়ে দিলে এটা করা হবে, আর তা না হলে নতুন প্রেসিডেন্টের অভিষেকের দিনে এ ঘটনা ঘটানো হবে।

উল্লেখ্য গত ৬ই জানুয়ারি ওয়াশিংটনে ক্যাপিটল ভবনের সহিংসতার ঘটনাই সংবাদ মাধ্যমে বেশি প্রচার পেয়েছিল। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে ওই দিন যুক্তরাষ্ট্রের আরো নানা জায়গায় এমন ঘটনা ঘটেছিল তবে তা ছিল ছোট আকারের। যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদ মাধ্যম বলছে, ফেডারেল কর্তৃপক্ষ এর মধ্যেই স্থানীয় আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে বলে দিয়েছে যেন তারা রাষ্ট্রীয় ভবনগুলোয় নিরাপত্তা জোরদার করে।

সোমবার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ‘বিপর্যয়ের হুমকি এড়ানোর জন্য’ ওয়াশিংটন ডিসিতে আগামী ২৪শে জানুয়ারি পর্যন্ত জরুরি অবস্থা জারি করেছেন। রাজধানীতে এর পর ১০ হাজার ন্যাশনাল গার্ড সেনা মোতায়েন করা হচ্ছে এবং আরো ৫ হাজার সেনা প্রয়োজনে মোতায়েনের জন্য তৈরি থাকবে।

আরও পড়ুন ::

Back to top button