ঝাড়গ্রাম: সপ্তম বর্ষ জঙ্গলমহল উৎসবের ট্যাবলের আনুষ্ঠানিক সূচনা হল। বৃহস্পতিবার বিকেলে ঝাড়গ্রাম শহরের ননীবালা স্কুল মাঠে ফিতা কেটে ও পতাকা নেড়ে ওই ট্যাবলোর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করালেন ঝাড়গ্রামের জেলাশাসক আয়েষা রানি এবং জেলা পরিষদের সভাধিপতি মাধবী বিশ্বাস। উপস্থিত ছিলেন গোপীবল্লভপুরের বিধায়ক চূড়ামণি মাহাতো, ঝাড়গ্রাম পুরপ্রশাসনিক বোর্ডের প্রধান প্রশান্ত রায়, অতিরিক্ত জেলাশাসক (উন্নয়ন) দীননারায়ণ ঘোষ, পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদের মুখ্য নির্বাহী আধিকারিক উত্তম অধিকারী, জেলা তথ্য আধিকারিক সঞ্জয় চক্রবর্তী সহ প্রশাসনের আধিকারিকরা।
উত্তমবাবু জানালেন, পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদের আওতায় থাকা ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বীরভূম ও পশ্চিম বর্ধমান—এই পাঁচ জেলায় ট্যাবলোটি ঘুরবে। আগামী ২০ থেকে ২৭ জানুয়ারি ঝাড়গ্রাম শহরের ননীবালা স্কুল মাঠে রাজ্যস্তরীয় জঙ্গলমহল উৎসব হতে চলেছে।
আরও পড়ুন : ঝাড়গ্রাম শহরে বাড়ি-বাড়ি দু’ভাগে জঞ্জাল সংগ্রহ, উদ্যোগ পুরসভার
উৎসব প্রাঙ্গণে থাকবে পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদের আওতাধীন পাঁচটি জেলার প্যাভেলিয়ন। এছাড়াও থাকবে ৪২টি সরকারি বিভিন্ন দফতরের স্টল। কারিগরি হাটে পশ্চিমাঞ্চলের হস্তশিল্পী ও কারুশিল্পীদের তৈরি সামগ্রীর ১৩০টি স্টল থাকবে। ২০ জানুয়ারি শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় উৎসবের উদ্বোধন করবেন।
প্রতি বারের মতো এবারও উৎসব প্রাঙ্গণে দু’জন মণীষীর জীবনী বিষয়ক লেজ়ার শো দেখানো হবে।
পশ্চিমাঞ্চলের পাঁচটি জেলার সাড়ে সাতশোরও বেশি লোকসংস্কৃতি দলের প্রায় আটহাজার লোকশিল্পী যোগ দেবেন। এছাড়াও জঙ্গলমহল ও কলকাতার প্রখ্যাত লোকশিল্পীদেরও অনুষ্ঠান হবে। উত্তমবাবু বলেন, “করোনা সংক্রান্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে উৎসবের আয়োজন করা হচ্ছে। প্রতিদিন উৎসব প্রাঙ্গণ ও স্টলগুলি জীবাণুমুক্ত করা হবে। উৎসব প্রাঙ্গণে মাস্ক ও স্যানিটাইজ়ারেরও ব্যবস্থা রাখা হবে।”