Jannah Theme License is not validated, Go to the theme options page to validate the license, You need a single license for each domain name.
আন্তর্জাতিক

অভিষেকের যে কবিকে নিয়ে আলোচনা তুঙ্গে

অভিষেকের যে কবিকে নিয়ে আলোচনা তুঙ্গে

যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের অভিষেকে পড়া নিজের লেখা কবিতায় ‘ঐক্য ও একতার’ ডাক দিয়েছেন তরুণ কবি আমান্ডা গোরম্যান। ২২ বছর বয়সী এ তরুণী বুধবার ওয়াশিংটন ডিসিতে অভিষেকে উপস্থিত গণ্যমান্য ব্যক্তি এবং তাদের পাশাপাশি টেলিভিশনে যোগ দেওয়া বিশ্বের অসংখ্য মানুষকে নিজের লেখা কবিতা ‘দ্য হিল উই ক্লাইম্ব’শুনিয়েছেন। বিবিসি, সিএনএন।

দেশটিতে প্রেসিডেন্টের অভিষেকে নিজের কবিতা পড়া কবিদের মধ্যে তিনিই এখন সর্বকনিষ্ঠ। বিবিসি জানিয়েছে, তার পাঁচ মিনিটের কবিতা শুরুই হয়েছে, “যখন দিন আসে, আমরা নিজেদের কাছে জানতে চাই, এই শেষ না হওয়া ছায়ায় কোথায় আমরা আলো খুঁজে পাবো?”

চলতি মাসে ক্যাপিটলে ট্রাম্প সমর্থকদের হামলার প্রসঙ্গও উঠে আসে আমান্ডার কবিতায়। ‘আমরা এমন শক্তি দেখেছি, যা আমাদের দেশকে সবার মধ্যে বিলিয়ে না দিয়ে চূর্ণবিচূর্ণ করে দেবে, গণতন্ত্রকে বিলম্বিত করাতে পারলে দেশকে ধ্বংস করে দেবে। ‘এমন চেষ্টা প্রায় সফলও হয়েছিল। গণতন্ত্র হয়তো সময়ে সময়ে দেরিতে আসতে পারে, কিন্তু একে কখনোই স্থায়ীভাবে পরাজিত করা যাবে না,’ নিজের কবিতায় বলেছেন আমান্ডা।

আরও পড়ুন : পেনশনে কত টাকা পাবেন ট্রাম্প!

কবিতায় আমান্ডা নিজেকে পরিচয় করিয়ে দেন এইভাবে, ‘হাড্ডি-চর্মসার কৃষ্ণাঙ্গ মেয়ে যার স্বপ্ন প্রেসিডেন্ট হওয়ার। যার পূর্বপুরুষ ছিল দাস এবং বড় হয়েছে একাকী মা-র (সিঙ্গেল মাদার) হাতে।’২০১৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম ‘ন্যাশনাল ইয়ুথ পোয়েট লরিয়েট’ হওয়া আমান্ডা বাইডেনের অভিষেকে কবিতা পড়ে রবার্ট ফ্রস্ট, মায়া অ্যাঞ্জেলু, মিলার উইলিয়ামস, এলিজাবেথ আলেক্সান্ডার ও রিচার্ড ব্লাঙ্কোর মতো কবিদের পদাঙ্ক অনুসরণ করলেন; এরা সবাই কোনো না কোনো প্রেসিডেন্টের অভিষেকে আবৃত্তি করেছিলেন।

‘আমি সত্যিই আমার শব্দগুলোকে ঐক্য, সহযোগিতা ও একতার বিষয় করতে চাই,’ নতুন প্রেসিডেন্টের অভিষেক অনুষ্ঠানের আগে বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিসেস নিউজআওয়ার প্রোগ্রামকে এমনটাই বলেন আমান্ডা। অথচ দুই সপ্তাহ আগেও ‘দ্য হিল উই ক্লাইম্ব’ কবিতার চরণ খুঁজে পেতে হিমশিম খেতে হচ্ছিল; ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটলে দাঙ্গা তরুণ এ কবির যাবতীয় জড়তা কাটিয়ে দেয়। বেরিয়ে আসে একের পর এক শক্তিশালী শব্দ।

‘দ্য হিল উই ক্লাইম্ব’ দিয়ে বাইডেনের অভিষেক অনুষ্ঠান মাতানো আমান্ডা ও তার কবিতার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা চলছে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে। আমান্ডার ‘শক্তিশালী ও শাণিত’ শব্দের প্রশংসা করে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামা বলেছেন, “দ্যুতি ধরে রাখো আমান্ডা।”

আমান্ডা জানান, যখন তাকে বাইডেনের শপথ অনুষ্ঠানে কবিতা পড়ার আমন্ত্রণ জানানো হয় তখন তিনি ‘চিৎকার করে উঠেছিলেন, মাথা চক্কর মারছিল’। উত্তেজনা, আনন্দ, সম্মানের পাশাপাশি ‘খানিকটা আতঙ্কিতও হয়েছিলেন’ তিনি। কবিতা শেষ করতে না পারার আশঙ্কা চেপে বসেছিল। যে বিশাল কাজের ভার বর্তেছে, তা ‘ঠিকঠাকমতো উৎরে যেতে পারবো তো’- এই উৎকণ্ঠা অস্থির করে তুলেছিল তাকে।

১৯৯৮ সালে লস অ্যাঞ্জেলসে জন্ম নেওয়া আমান্ডা ১৬ বছর বয়সে রাজ্যটির ‘ইয়ুথ পোয়েট লরিয়েট’ হন। তিন বছর পর হার্ভার্ডে সমাজবিজ্ঞান পড়ার সময় হন ‘ন্যাশনাল ইয়ুথ পোয়েট লরিয়েট’। ২০১৫ সালে তার প্রথম বই ‘দ্য ওয়ান ফর হুম ফুড ইজ নট এনাফ’ প্রকাশিত হয়।

আরও পড়ুন ::

Back to top button