ঝাড়গ্রাম

জঙ্গলমহল উৎসব মঞ্চে বন্ধুর অনুরোধে একই গান দু’বার গাইলেন অংশুমানপুত্র ভাস্কর রায়

স্বপ্নীল মজুমদার

জঙ্গলমহল উৎসব মঞ্চে বন্ধুর অনুরোধে একই গান দু’বার গাইলেন অংশুমানপুত্র ভাস্কর রায় - West Bengal News 24

ঝাড়গ্রাম: ছেলেবেলার বন্ধুর অনুরোধ ফেলতে পারলেন না বিশিষ্ট সঙ্গীতশিল্পী ভাস্কর রায়। বন্ধুর অনুরোধে শুক্রবার রাতে ঝাড়গ্রামে রাজ্যস্তরের জঙ্গলমহল উৎসবের মঞ্চে ভাস্কর দ্বিতীয়বার গাইলেন ‘দাদা পায়ে পড়ি রে, মেলা থেকে বউ এনে দে’। বাংলা গানের শ্রোতাদের কাছে এই গানটি অত্যন্ত সুপরিচিত।

ঝাড়গ্রামের ভূমিপুত্র প্রয়াত শিল্পী অংশুমান রায়ের এই গানটির এবার পঞ্চাশ তম বর্ষ। শুক্রবার রাতে সেই গান গেয়ে জঙ্গলমহল উৎসবের মঞ্চ মাতিয়ে দেন শিল্পীপুত্র ভাস্কর রায়। ভাস্কর তাঁর বাবার গান ছাড়া অন্য কোনও শিল্পীর গান করেন না। ১৯৭১ সালে ‘দাদা পায়ে পড়ি রে, মেলা থেকে বউ এনে দে’ গানটি রেকর্ড করেছিলেন অংশুমান রায়। বাংলা গানের জগতে একের পর এক সুপারহিট গান উপহার দিয়েছিলেন অংশুমান।

আরও পড়ুন : দুঃস্থদের শীত কাটাতে বিরাট-ভক্তদের সেবার ঊষ্ণ পরশ

শুক্রবার রাতে জনপ্রিয় গানগুলি একের পর এক ভাস্কর গাইছিলেন, আর শ্রোতারা করতালিতে ফেটে পড়ছিলেন। ভাস্করের গান শোনার জন্য কিছুক্ষণ দর্শকাসনে হাজির ছিলেন ঝাড়গ্রামের জেলাশাসক আয়েষা রানি। ভাস্করের তখন কয়েকটি গান হয়ে গিয়েছে, এমন সময় উৎসব প্রাঙ্গণে এসে পৌঁছন তাঁর বাল্যবন্ধু বর্তমানে ঝাড়গ্রাম পুরসভার প্রশাসক মণ্ডলীর সদস্য কল্লোল তপাদার। কল্লোল মঞ্চের কাছে গিয়ে বলেন, “ভাস্কর, ‘দাদা পায়ে পড়ি রে’ শোনা’।”

ভাস্কর বলেন, “এই গানটা গেয়ে ফেলেছি। তুই দেরি করে এসেছিস। তোর জন্য চারটে লাইন গাইছি।” গানের মাঝে ভাস্কর শোনালেন ঝাড়গ্রামের ছোটবেলার স্মৃতি। কিশোর বেলায় কল্লোলের সঙ্গে মাঠে ফুটবল খেলার স্মৃতিচারণ করেন শিল্পী। অনুষ্ঠানের শেষে ভাস্করের সঙ্গে দেখা করে কল্লোল বলেন, “পাঁচ দশক পরেও শিল্পী অংশুমান রায়ের গান আজও সমান জনপ্রিয়। নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েরাও এই গান শুনে নেচে উঠছে। এটাই অংশুমান রায়ের কৃতিত্ব। আর ভাস্কর যেভাবে বাবার গানকে আরও প্রসারিত করছে তাতে এইসব গান কালজয়ী হয়ে থাকবে।”

এদিন ভাস্করের সঙ্গে দেখা করে ঝাড়গ্রাম ওয়েস্ট এন্ড স্কুলের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী উপাসনা কর্মকার জানান তিনিও অংশুমান রায়ের গান শুনতে ভালবাসেন। ভাস্কর রায় বলেন, “এই ভালোবাসার টানেই বার বার ঝাড়গ্রামে আসি। আবার আসব।”

আরও পড়ুন ::

Back to top button