৩১ জানুয়ারি অমিত শাহর সভা থেকে বিজেপি–তে যোগ দিতে চলেছেন বালির বিধায়ক বৈশালী ডালমিয়া। এমনই জানা গিয়েছে। তাঁর সঙ্গে আরও বেশ কয়েকজন নেতা তৃণমূল থেকে বিজেপি–তে যাচ্ছেন বলে খবর। তাঁদের মধ্যে কি ডোমজুড়ের বিধায়ক রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এবং উত্তরপাড়ার বিধায়ক প্রবীর ঘোষালও রয়েছেন? বুধবার আরামবাগের সভা থেকে এমনই ইঙ্গিত দিলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী।
১৮ জানুয়ারি নন্দীগ্রামের সভা থেকে তৃণমূল সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন যে তিনি নন্দীগ্রাম আসন থেকে ভোটে দাঁড়াবেন। একইসঙ্গে তিনি জানান যে তিনি চেষ্টা করবেন ভবানীপুরেও দাঁড়াতে। তখনই মমতা বলেন, ‘ভবানীপুর আমার বড় বোন। নন্দীগ্রাম মেজো বোন।’
এদিন সেই প্রসঙ্গ টেনে শুভেন্দুর কটাক্ষ, ‘রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বেসুরো। ৩১ তারিখ বা ৩০ তারিখ (অমিত শাহর সফরের দিন) কী করবে জানি না । রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় যদি চলে যায় তিনি (মুখ্যমন্ত্রী) কি ডোমজুড়কে বলবে সেজো বোন? উত্তরপাড়ার বিধায়ক প্রবীর ঘোষালও বেসুরো। প্রবীরদা যদি চলে যায় কী বলবে? ছোট বোনের নাম উত্তরপাড়া?’ এর পরই রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও প্রবীর ঘোষালের দলবদল নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে।
আরও পড়ুন : কৃষি আইন নিয়ে অবিলম্বে সর্বদলীয় বৈঠক চান মমতা
উল্লেখ্য, ডোমজুড়ের বিধায়ক রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় কিছুদিন আগেই রাজ্যের বনমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। আর ২৬ জানুয়ারি হুগলি জেলায় দলের সমস্ত সাংগঠনিক পদ ছেড়ছেন উত্তরপাড়ার বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল। দু’জনেই দলের প্রতি একাধিক অভিযোগ তুলেছেন। ইতিমধ্যে দল শোকজ করেছে প্রবীর ঘোষালকে। এবং রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছেন যে তিনি ডোমজুড় থেকেই আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে লড়বেন।
এদিকে, মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করে শুভেন্দু এদিন বলেন, ‘আমি নন্দীগ্রামে তাঁকে হারাবই। বিজেপি কাকে প্রার্থী করবে জানি না, কিন্তু আমার কাজ আমি করে দেব। ৫০ হাজার ভোটে মাননীয়াকে হারাব।’ মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে শুভেন্দুর আরও কটাক্ষ, ‘বিজেপি আসলে দুটি পুরষ্কার দেব বলে ঠিক করেছি। একটা ‘মিথ্যাশ্রী’। সেটা পাবেন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর একটা ‘তোলাশ্রী’। সেটা পাবে ওঁর কীর্তিমান ভ্রাতুস্পুত্র। একজন রেগে যাচ্ছে ‘জয় শ্রী রাম’ শুনে। আর আরেকজন রেগে যাচ্ছেন তোলাবাজ ভাইপো বললে।’
এদিন রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলকে তুলোধনা করেন শুভেন্দু অধিকারী। বলেন, ‘লকডাউনে চাল চুরি হল। আমফানে হল ত্রিপল চুরি। করোনার টিকাও চুরি করেছে তৃণমূল। স্বাস্থ্যকর্মীদের টিকা না দিয়ে দুই বিধায়ক, একজন প্রাক্তন বিধায়ক আর দু’জন পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান নিয়ে নিয়েছে টিকা। শুধু টিকা চুরি নয়। পুরশুড়ায় যে এসেছিল সে স্লোগানও চুরি করছে।’ শুভেন্দু আরও বলেন, ‘নেতাজি বলেছিলেন, দিল্লি চলো। আর দিদিমণি বলছেন ভারতকে ভাগ করে ৪টে রাজধানী কর।’
সূত্র: হিন্দুস্থান টাইমস