অন্যান্য বছর গুলির থেকে এবছর আলুর ফলন যথেষ্ট ভালো হওয়ার খুশীর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছিল গ্রামীণ হাওড়ার প্রান্তিক কৃষি প্রধান এলাকা বলে পরিচিত উদয়নারায়নপুর,আমতা,জয়পুর,জগৎবল্লবপুর,বাগনান,শ্যামপুর এলাকার বহু কৃষক পরিবারে। যদিও সেই আশায় বাদ সেধেছে আলুর দাম।
ঐ সমস্ত এলাকার বহু কৃষকদের অভিযোগ বহু টাকা খরচ করে আলুচাষ করলেও মেলেনি নায্যমূল্য। ফলে বড়সড় ক্ষতির আশঙ্কায় এলাকার বহু আলুচাষী।
আরও পড়ুন : চণ্ডীপুরে কলকাতাগামী বাস-লরির মুখোমুখি ভয়ঙ্কর সংঘর্ষে ১ যাত্রীর মৃত্যু, আশঙ্কাজনক অনেকে!
আমতার আলুচাষী অনুপ পল্যে বলেন-” এবছর সমবায় থেকে ঋণ নিয়ে একবিঘা জমিতে আলু বসিয়েছি। তিন প্যাকেট আলুবীজের জন্য পনেরো হাজার টাকা,জমিতে হাল,সেচ,কীটনাশক ও অন্যান্য খরচ বাবদ মোট বাইশ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। বৃহস্পতিবারের বাজার মুল্য প্রত্যেক ৫০ কেজি প্যাকেট ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা বিক্রি হওয়ায় ষাট প্যাকেট আলু বিক্রি করে পেলাম আঠারো হাজার টাকা ফলে। কীভাবে ব্যাঙ্কের ঋণশোধ করবো বুঝতে পারছিনা।
এই প্রসঙ্গে উদয়নারায়নপুরের পিয়ারাপুরের বাসিন্দা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আলুচাষী বলেন-” কিছু দিন আগেও বাজারে আলু চল্লিশ টাকায় বিক্রি হচ্ছিল। হঠাৎ করে দাম কমে যাওয়ার কারন কী? চালাকি করছে মহাজনেদের একাংশ, রাজ্য সরকারের উচিত বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করে দেখা উচিত নাহলে আমরা মহাজনের ঋণ পরিশোধ করতে পারব না। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে রাস্তায় ভিক্ষে করতে হবে আমাদের”।