আন্তর্জাতিক

নিউজিল্যান্ডে ফের লকডাউন

নিউজিল্যান্ডে ফের লকডাউন - West Bengal News 24

নিউজিল্যান্ডের বৃহত্তম অকল্যান্ড শহরে নতুন করে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। ব্রিটেনে পাওয়া করোনার নতুন ধরনের উপস্থিতি সম্প্রতি অকল্যান্ডেও শনাক্ত হয়েছে। করোনার এই নতুন ধরনটি আগের ধরনের চেয়ে অনেক বেশি সংক্রামক। সে কারণেই নতুন করে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে বলে সোমবার স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন। রয়টার্স।

অকল্যান্ডে প্রায় ২০ লাখ মানুষ বসবাস করে। রোববার থেকে সেখানে তিনদিনের লকডাউন জারি করা হয়েছে। সম্প্রতি ওই শহরে তিনজনের দেহে করোনার নতুন ধরন শনাক্ত হয়েছে। নতুন ধরনের করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিরা সবাই একই পরিবারের সদস্য। তাদের দেহে বি১.১.৭ ভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়েছে। তারা কিভাবে নতুন ধরনের এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলেন তা এখনও অজানা। কর্তৃপক্ষ বলছে, তারা এ বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন।

সোমবার ফেসবুকের এক লাইভে প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্ডার্ন বলেন, ‘আমরা ধারণা করছি যে, আরও বেশি সংক্রমণযোগ্য নতুন ধরনের ভাইরাস এটি। সেকারণেই অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করার ক্ষেত্রে আমরা একেবারেই সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছি বলা যায়।’

আরও পড়ুন : ইরান সীমান্তে ভস্মীভূত আফগানিস্তানের ৫০০ ট্যাংকার

গত ৬ মাসের মধ্যে প্রথমবার অকল্যান্ড শহরে লকডাউন ঘোষণা করা হলো। শুরু থেকেই করোনা মহামারিকে গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে নিউজিল্যান্ড। এর সুফলও পেয়েছে তারা। কঠোর পদক্ষেপ এবং কড়াকড়ি আরোপের মাধ্যমে করোনা নিয়ন্ত্রণ করতে পারায় দেশটি বিশ্বজুড়ে বেশ প্রশংসাও পেয়েছে।

এক বছরের বেশি সময় ধরে বিশ্বে তাণ্ডব চালাচ্ছে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস। ওয়ার্ল্ডোমিটারের পরিসংখ্যান বলছে, দেশটিতে এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২ হাজার ৩৩৬। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে আরও ছয়জন।

দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ২৫ জন। বিশ্বের অনেক দেশের তুলনায় নিউজিল্যান্ডে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা অনেক কম। এছাড়া দেশটিতে আক্রান্তদের মধ্যে অধিকাংশই এখন সুস্থ। এখন পর্যন্ত করোনা থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে ২ হাজার ২৬৪ জন। বর্তমানে দেশটিতে করোনার অ্যাক্টিভ কেস ৪৭টি।

অন্যান্য শহরগুলোতে লকডাউন জারি করা না হলেও অকল্যান্ড ছাড়া প্রায় পুরো দেশেই দ্বিতীয় স্তরের সতর্কতা রয়েছে। এছাড়া একশোর বেশি মানুষের সমাগমেও নিষেধাজ্ঞা আনা হয়েছে।

আরও পড়ুন ::

Back to top button