ঝাড়গ্রাম: ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি শতবর্ষের দোরগোড়ায়। দেশে-বিদেশে ছড়িয়ে রয়েছেন কয়েক হাজার প্রাক্তনী। ঝাড়গ্রাম শহরের কুমুদকুমারী ইনস্টিটিউশনে এবার করোনা বিধি মেনে ৯৭ তম বর্ষের সরস্বতী পুজো হল। এবার অবশ্য করোনার কারণে প্রীতিভোজ হচ্ছে না। তবে সর্বাঙ্গসুন্দর ভাবে পুজোর আয়োজন করা হয়। দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্ররা এবার পুজোর দায়িত্বে ছিল।
পুজো কমিটির সম্পাদক দ্বাদশ শ্রেণীর বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র মহম্মদ সাহবাজ রাজা জানায়, আর সাড়ে চার মাস পরে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। তবে দিন কয়েক আগে থেকেই পুজোর আয়োজনে সহপাঠীদের নিয়ে কাজ শুরু করে দেওয়া হয়। মণ্ডপ সজ্জার দায়িত্বে ছিলেন অরূপশঙ্কর নন্দীর মত কয়েকজন শিক্ষকও। পুজোর আয়োজনের দায়িত্বে থাকা সাহবাজের সহপাঠী দ্বাদশ শ্রেণীর প্রীতম ষড়ঙ্গী, অন্তরিক্ষ পাত্র, অনীক নাগ, সৌম্যজিৎ মুখোপাধ্যায়, সৌম্যজিৎ শীট, নির্ভীক মল্লিক, অনিকেত ঘোষরা জানায়, ঝাড়গ্রামের শতবর্ষ ছুঁতে চলা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পুজোয় এবার অবশ্য সম্ভবত করোনা অবহের কারণে দূরের প্রাক্তনীরা আসতে পারেননি। তবে প্রতিমা দর্শনে যাঁরা এসেছিলেন, তাঁদের প্রসাদ বিতরণ করা হয়।
স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধানশিক্ষক তথা সহকারী প্রধানশিক্ষক নিরঞ্জন মান্না বলেন, “আমাদের এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বরাবরই সম্প্রীতির বাতাবরণে শিক্ষাদান করা হয়। সেই কারণে এবার সাহবাজকে পুজোর দায়িত্বপ্রাপ্ত ছাত্রমণ্ডলীর সম্পাদক করা হয়েছে।” ভারপ্রাপ্ত প্রধানশিক্ষক জানান, ২০২৪ সালে স্কুলের শতবর্ষ। প্রাক্তনীদের সাদর আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে।
এই স্কুলের বহু প্রাক্তনী দেশে-বিদেশে সুপ্রতিষ্ঠিত। গর্বের এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পড়ুয়ারা প্রতি বছর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে উল্লেখযোগ্য স্থান পেয়ে সুনাম অক্ষুন্ন রেখে চলেছে। এদিন পুজো চলাকালীন এসেছিলেন অবসরপ্রাপ্ত প্রধানশিক্ষক অনুপকুমার দে। তিনি বলেন, “শ্রীপঞ্চমীতে পুজোর টানে প্রতিবছর আসি।”