অনলাইনে ঝড় তুলেছেন বিশ্বের বৃহত্তম গালের এই মডেল
আনাসতাসিয়া পোকরেশচুক ২৬ বছর বয়সেও একেবারে স্বাভাবিক সুন্দরী ছিলেন। যার মাথায় ছিল লম্বা বাদামি চুল, মুখে হালকা মেক-আপ। কিন্তু তার মুখায়ব পুরোপুরি পাল্টাতে গত ছয় বছর ধরে কয়েক দফায় সার্জারি করে বিশ্বের বৃহত্তম গাল বানিয়েছেন তিনি; যা তার আগের মুখায়বের উল্টো।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছয় বছর আগের এবং পরের দু’টি ছবি পোস্ট করে মুহূর্তের মধ্যেই তারকা বনে গেছেন তিনি। ভাইরাল হয়ে যাওয়া ছবিতে লাইক, কমেন্টের ঝড় শুরু হয়েছে। ২৬ এবং ৩২ বছরের পৃথক দু’টি ছবি পোস্ট করে ভক্তদের উদ্দেশে আনাসতিয়া লিখেছেন, কোনটি বেশি সুন্দর?
এই মুহূর্তে বিশ্বের বৃহত্তম গালের অধিকারি বলে নিজেকে দাবি করেন আনাসতিয়া। এটি করতে গিয়ে যে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে তাকে সেকথাও বলেছেন তিনি।
View this post on Instagram
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সার্জারির আগের এবং পরের যে দু’টি ছবি তিনি শেয়ার করেছেন, তাতে কোনও ধরনের মিল খুঁজে পাচ্ছেন না ইউক্রেনের এই মডেলের ভক্ত-অনুসারীরা। নতুন যে ছবিটি তিনি প্রকাশ করেছেন, তাতে দেখা যাচ্ছে তার আগের বাদামি লম্বা চুল হয়ে গেছে ঘন গোলাপি রঙয়ের। বাদামি চোখে জুড়ে দিয়েছেন কন্ট্যাক্ট লেন্স।
আগে হালকা মেক-আপ করলেও এখন তা অনেকটা নাটকীয় মেক-আপে রূপ নিয়েছে। স্বাভাবিক গালের দুই পাশ হয়ে গেছে উঁচু। শুধু তাই নয়, গত কয়েক বছরে তার স্বাভাবিক ঠোঁটের আকারও বড় করেছেন আনাসতাসিয়া। অনেকেই তার এই সৌন্দর্য আমূল বদলানোর সিদ্ধান্তকে অদ্ভূতও বলছেন।
আরও পড়ুন : অঙ্কুশ-ঐন্দ্রিলার সহকারীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
তবে নিজের বর্তমান চেহারা নিয়ে অনেক খুশি আনাসতাসিয়া। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে সার্জারির আগের এবং পরের দু’টি ছবি জুড়ে দিয়ে ক্যাপশনে ভক্তদের কাছে প্রশ্ন করেছেন, রূপান্তর— ২৬ এবং ৩২। আপনি কোনটি বেছে নেবেন?
তার এই ছবিতে এখন পর্যন্ত লাইক পড়েছে ২১ হাজার এবং কমেন্ট করেছেন প্রায় দুই হাজার মানুষ। আনাসতাসিয়া এক ভক্ত লিখেছেন, নতুন এই চেহারায় তাকে সুপারহিরোর মতো দেখাচ্ছে। ভক্তের এই কমেন্ট মন কেড়েছে ইউক্রেনীয় এই মডেলেরও। কমেন্টে ভালোবাসার ইমোজি দিয়ে তিনি লিখেছেন, হ্যাঁ।
অন্য আরেক ভক্ত ইউক্রেনীয় ভাষায় লিখেছেন, ২৬ বছর বয়সেই তিনি খুব সুন্দরী ছিলেন। এই কমেন্টের জবাবে আনাসতাসিয়া লিখেছেন, না। নিজের রূপ বদলে ফেলার এই প্রক্রিয়া ছয় বছর আগে শুরুর অভিজ্ঞতা স্মৃতিচারণ করে বলেছেন, ইঞ্জেকশন নেওয়ার পর আমি গালে পরিবর্তন দেখতে পাই এবং এর প্রেমে পড়ে যাই।