এবার বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতায় যোগ দিচ্ছেন নীতা আম্বানী
রিলায়েন্স সংস্থার একাধিক গুরুদায়িত্ব পালনের পাশাপাশি এবার বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াতেও দেখা যাবে শিল্পপতি মুকেশ আম্বানির স্ত্রী নীতা আম্বানীকে!
সম্প্রতি তিনি বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করার আমন্ত্রণ পেয়েছেন এবং সেই আমন্ত্রণে প্রাথমিকভাবে ইতিবাচক সাড়াও দিয়েছেন।
খুব তাড়াতাড়ি হয়তো নীতাকে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের পাঠ দিতে দেখা যাবে। মূলত উইমেন স্টাডিজ-র পাঠ দেবেন নীতা।
নীতা মুম্বাই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাণিজ্য বিভাগে স্নাতক করেছেন। ২০১৪ সালে তিনি রিলায়েন্স-এর নির্বাহী ডিরেক্টর হন। কোনও বিশেষ একটি ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত নন তিনি। রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন-এর চেয়ারপার্সন এবং প্রতিষ্ঠাতা হওয়ার পাশাপাশি তিনি ধীরুভাই আম্বানী ইন্টারন্যাশনাল স্কুলেরও চেয়ারপার্সন।
আরও পড়ুন : যুক্তরাষ্ট্রে তিন স্পা সেন্টারে গোলাগুলি, ৬ নারীসহ নিহত ৮
আইপিএল ক্রিকেট দল মুম্বাই ইন্ডিয়ানস-এর মালিকও তিনি। ফুটবল স্পোর্টস ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড (এফএসডিএল)-এর চেয়ারপার্সনও তিনি। আইএসএল সংগঠিত করে এফএসডিএল এবং আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির প্রথম ভারতীয় নারী সদস্য তিনি।
এবার তার জীবনপঞ্জিতে নতুন সংযোজন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা। কিন্তু কেন নীতা রিলায়েন্স-এর দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি পড়াতে ইচ্ছুক হলেন? এবং কেনই বা তাকে আমন্ত্রণ জানানো হল?
ওই বিশ্ববিদ্যালয় নীতাকে অতিথি শিক্ষিকা হিসেবে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। মাঝে মধ্যে গিয়ে পড়ুয়াদের ক্লাস নিতে হবে তাকে। নীতা একজন প্রভাবশালী নারী উদ্যোক্তা। তার অভিজ্ঞতা এবং মূল্যবান জীবনদর্শন শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ কাঠামো মজবুত করতে সাহায্য করবে বলে মনে করেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
শিক্ষার্থীদের মনোবল বৃদ্ধিতেও সাহায্য করবে নীতার ভাষণ। সে কারণেই তাকে অতিথি শিক্ষিকা হওয়ার আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। নীতা বরাবরই নারী ক্ষমতায়নের প্রতি সচেতন। তার সংস্থা নারীদের ক্ষমতায়নের জন্য বিভিন্ন সময়ে প্রশিক্ষণ-সহ নানা উদ্যোগ নিয়ে থাকে।
সম্প্রতি আন্তর্জাতিক নারী দিবসের দিন সমাজমাধ্যমে নীতা ‘হার সার্কল’ নামে একটি প্ল্যাটফর্ম চালু করেছেন। এর উদ্দেশ্য নারী ক্ষমতায়নে সাহায্য করা।
তবে ঠিক কবে থেকে তিনি ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেবেন এবং মাসে ক’টি ক্লাস নেবেন, তা নিযে কথাবার্তা চলছে। তাই এখনও সে বিষয়টি পরিষ্কার নয়।
তবে শুধুমাত্র স্নাতক নীতার বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষিকা হওয়ার খবরে বিতর্কও শুরু হয়েছে। নীতা কোন যোগ্যতায় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানোর ডাক পেলেন, তা নিয়েই বিতর্ক। সমাজমাধ্যমে এমনও বিতর্ক ঘুরছে যে, প্রভাবশালী হওয়ার জন্যই তাকে এই সুযোগ দেওয়া হয়েছে।