বিচিত্রতা

৭৭ বার চেষ্টা তবুও বন্ধুর স্ত্রীকে অন্তঃসত্ত্বা করতে ব্যর্থ বন্ধু! অতঃপর …

৭৭ বার চেষ্টা তবুও বন্ধুর স্ত্রীকে অন্তঃসত্ত্বা করতে ব্যর্থ বন্ধু! অতঃপর … - West Bengal News 24

নিজে ইনফার্টাইল মানে বন্ধ্যা ছিলেন। তবে সন্তানের আকাঙ্খা ছাড়তে পারেননি। তাই ফন্দি এঁটে বন্ধুকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন স্ত্রীকে গর্ভবতী করার। বন্ধুও তেমনই! মোট ৭৭ বার চেষ্টা করেও বন্ধুর স্ত্রীকে গর্ভবতী করতে পারেননি।

এতেই চটে গিয়ে এবার বন্ধুর বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা দায়ের করেছেন তানজানিয়ার এক পুলিশকর্মী। যার নাম দারিয়াস মাকামবাকো।

আফ্রিকান এই নাগরিকের সমস্যা সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর নেটদুনিয়ায় ‘বিনোদনে’র খোরাকে পরিণত হয়েছে।

৫০ বছর বয়সী পুলিশকর্মী বন্ধ্যা বা ইনফার্টাইল সমস্যায় ভুগছিলেন। চিকিৎসকরা জানিয়ে দেন, ‘সন্তান সম্ভব নয়।’ বিয়ের ৬ বছর পরও সন্তান না হওয়ায় অবসাদে ভুগছিলেন ৪৫ বছর বয়সী স্ত্রীও। এই সময়ই অদ্ভুত এই ফন্দি আসে পুলিশকর্মী দারিয়াসের মাথায়।

আরও পড়ুন : স্ত্রীর নিচে চাপা পড়ে স্বামীর মৃত্যু!

৫২ বছরের বন্ধু ইভান্স মাস্তানোর দ্বারস্থ হন দারিয়াস। অনুরোধ, ‘আমার স্ত্রীকে অন্তঃসত্ত্বা করতে হবে।’ প্রথমে রাজি না হলেও, ২০ লাখ তানজিনিয়ান সিলিং অর্থাৎ বাংলাদেশি মুদ্রায় ৭৩ হাজার টাকায় রাজি হন ইভান্স।

শর্ত, ‘আগামী ১০ মাসে সপ্তাহে ৩ বার করে যৌনি মিলন করতে হবে।’ সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, মোট ৭৭ বার ‘কসরত’ করেন ইভান্স। তবে ফল মেলেনি।

পরে চিকিৎসকরা জানান, ‘ইভান্সও ইনফার্টাইল।’ যদিও এই দাবি স্বীকার করতে রাজি ছিলেন না ইভান্স।

কারণ, তাঁর দুই সন্তান রয়েছে। যদিও পরে অশান্তির জেরে ইভান্সের স্ত্রী স্বীকার করতে বাধ্য হন, ওই সন্তানেরা ইভান্সের নয়, বরং তাঁর ভাই এডওয়ার্ডের।

দারিয়াস মাকামবাকো যদিও এই যুক্তিতে খুশি হননি। টাকা ফেরত চেয়ে মামলা করেন বন্ধু ইভান্সের নামে। তবে ইভান্সের দাবি, ‘আমি তো কোনও গ্যারান্টি দিইনি। তাহলে টাকা ফেরত কেন দেব?

আরও পড়ুন ::

Back to top button