Jannah Theme License is not validated, Go to the theme options page to validate the license, You need a single license for each domain name.
রাজনীতিরাজ্য

ক্ষমতায় এলেও বাংলায় NRC হবে না : জানিয়ে দিলেন কৈলাশ বিজয়বর্গীয়

ক্ষমতায় এলেও বাংলায় NRC হবে না : জানিয়ে দিলেন কৈলাশ বিজয়বর্গীয় - West Bengal News 24

বাংলায় এনআরসি হবে না। এখনও এই নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি দলের তরফে। তবে ক্ষমতায় এলেই নাগরিকত্ব আইন দ্রুত কার্যকর করা হবে। রবিবার এমনটাই বলেছেন বিজেপি নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয়। তিনি বলেছেন, নির্বাচনের পরেই নাগরিকত্ব আইন কার্যকর করা হবে। ইস্তেহারে প্রতিশ্রুতি মোতাবেক, এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। ধর্মীয় উৎপীড়নে ভারতে চলে আসা শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়া আমাদের কর্তব্য। কিন্তু এনআরসি করার কোনও পরিকল্পনা নেই বাংলায়। ক্ষমতায় এলেও কোনও পদক্ষেপ করা হবে না।

রাজ্য বিজেপি কেন্দ্র বিজেপির সুরে এনআরসি ও সিএএ নিয়ে নানা গপ্পো ফেঁদেছিল। তারা দাবি করেছিল সিএএ বা নাগরিকত্ব আইন কার্যকর হলে দেড় কোটি মানুষ উপকৃত হবেন। তাঁদের মধ্যে ৭২ লক্ষ শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গেই রয়েছেন। একইসঙ্গে তৃণমূলের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের অভিযোগ তুলে কৈলাসের পাল্টা প্রশ্ন, রাজ্যের ক্ষমতাসীন সরকার কেন নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতা করছে, এতে অনেকে উপকৃত হবেন।

আরও পড়ুন : কেক কেটে জেলার জন্মদিন পালন করলেন তৃণমূল নেতা

এ রাজ্যে নাগরিকত্ব আইন নিয়ে বিজেপি বারবার মতুয়াদের খেপানোর চেষ্টা করেছে। কেবল তাদের নাগরিকত্ব দেবার গপ্পো শুনিয়েছে। তা নিয়ে রাজনীতি করেছে। এখনও করছে। সহজ প্রশ্ন হল, মতুয়াদের কি ভোটার কার্ড নেই? তাদের কি এদেশের ব্যাংকে একাউন্ট নেই ? তারা কি আয়কর দেন না ? তাদের কি পাসপোর্ট নেই ? ড্রাইভিং লাইসেন্স কি তাদের দেওয়া হয় না ? একজন সাধারণ ভারতীয় নাগরিক যা যা সুবিধা ভোগ করেন, মতুযারাও তাই পান। তাহলে এত শোরগোল কিসের ! সবটাই যে বিজেপির অপপ্রচার রাজনীতি তা বুঝতে কারও বাকি নেই। তবু বিজেপি কেবল বিদ্বেষ দিয়ে গোটা রাজনীতিটা করতে চেষ্টা করেছে।

১৯৫০-র পর থেকে বাংলাদেশ থেকে বহু মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষ ভারতে এসেছেন। রাজ্যে চারটি লোকসভা কেন্দ্র এবং ৩০-৪০ বিধানসভা আসনে মতুয়ারা বড় ফ্যাক্টর। তার ফসল গত লোকসভা নির্বাচনে তুলেছে বিজেপি। এনআরসি নিয়ে মুসলিমদের মনে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে গিয়ে চাপে পরে যায় বিজেপি নিজেই। অসমে ১৯ লক্ষ বাঙালি হিন্দুকে ডি’ভোটার করে দেওয়া হয়। ডিটেনশন ক্যাম্পে ঠিকানা হয় বহু বাঙালি হিন্দুর। ভয় ধরে যায় মতুয়াদের মনে। বিজিপির ওপর রেগে যায় তারা। ফলে বদ্ধ হয়ে সিএএ নিয়ে আসে কেন্দ্র। ভয়ে আর এনআরসির কথা ঘুনাক্ষরেও কোনও বিজেপি নেতা আনতে চায় না।

আরও পড়ুন ::

Back to top button