ঝাড়গ্রাম

মারধরে গুরুতর জখম আদিবাসী যুবক, অভিযুক্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী

স্বপ্নীল মজুমদার

মারধরে গুরুতর জখম আদিবাসী যুবক, অভিযুক্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী - West Bengal News 24

বেলপাহাড়ি: ঝাড়গ্রাম জেলার বেলপাহাড়িতে এক আদিবাসী যুবককে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে। ঘটনার বিবরণে জানা গিয়েছে, গত বুধবার বেলপাহাড়ি ব্লকের শিমূলপাল পঞ্চায়েতের ঢাঙিকুসুম গ্রামের বাসিন্দা পেশায় দিনমজুর গৌরহরি সিং জঙ্গলে জ্বালানি সংগ্রহ করতে গিয়েছিলেন।

ওই সময় টহলরত কেন্দ্রীয় বাহিনীর কয়েকজন জওয়ান তাঁকে দেখতে পেয়ে আটকায়। গৌরহরির অভিযোগ, কেন তিনি জঙ্গলে এসেছেন সেই প্রশ্ন তুলে জওয়ানরা তাঁকে বেধড়ক মারধর করে। মারের চোটে গৌরহরির সারা শরীরে আঘাতের দাগ হয়ে যায়। মারের চোটে অসুস্থ গৌরহরিকে সেখানেই ফেলে রেখে যাওয়া হয়। কোনও মতে গ্রামে ফিরে সবাইকে ঘটনাটি জানান তিনি।

পরে স্থানীয় সিভিক ভলান্টিয়ার ও গ্রামবাসী গৌরহরিকে উদ্ধার করে ওদলচুয়া প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসা করিয়ে গৌরহরি এখন বাড়িতে রয়েছেন। শিমূলপাল পঞ্চায়েতের নির্দল সদস্য চৈতালি সিং এ ব্যাপারে বেলপাহাড়ি থানায় লিখিতভাবে অভিযোগ জানিয়ে ঘটনার তদন্ত দাবির পাশাপাশি, প্রশাসনিক ভাবে গৌরহরির পরিবারের ভরণপোষণের দায়িত্ব নেওয়ার দাবি করেছেন। ঘটনার পরে রীতিমতো আতঙ্কিত গৌরহরি ও তাঁর পরিবার। চৈতালিদেবী বলেন, স্থানীয় গ্রামবাসীরা দীর্ঘদিন জঙ্গল থেকে জ্বালানি সংগ্রহ করেন। তা সত্ত্বেও কেন এভাবে গৌরহরিকে মারধর করা হল সেটাই আমরা বুঝতে পারছি না।”

আরও পড়ুন : ঝাড়গ্রামে রক্তের সঙ্কট মেটাতে উদ্যোগী তৃণমূল নেতা

জানা গিয়েছে, ঝাড়খণ্ড রাজ্যের সীমান্তবর্তী ওই এলাকায় প্রায়ই টহল দেয় কেন্দ্রীয় বাহিনী। স্থানীয় বুড়িঝোরে ক্যাম্পের সিআররপিএফ বাহিনী থেকে অবশ্য জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ওইদিন কেন্দ্রীয় বাহিনীর কেউ ওই এলাকায় টহল দেয়নি। তাহলে কারা গৌরহরিকে মারধর করল? জেলা পুলিশ সূত্রে ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। বিনপুর বিধানসভার নির্দল প্রার্থী আদিবাসী ভূমিজ সম্প্রদায়ের নিত্যলাল সিংয়ের প্রশ্ন, ‘‘কারা সেদিন টহল দিচ্ছিল, সেই খবর পুলিশ অথবা কেন্দ্রীয় বাহিনীর কাছে নেই কেন? নাকি পুরোটাই দায় এড়ানো হচ্ছে?’’ জখম গৌরহরির পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবিও করেছেন নিত্যলাল।

জেলা পুলিশের কর্তাদের ধারণা, এলাকাটি একেবারে ঝাড়খণ্ড রাজ্যের লাগোয়া। ফলের গৌরহরি সেদিন ঝাড়খণ্ডের এলাকায় গিয়ে সেখানকার কোনও বাহিনীর হাতে নিগৃহীত হয়েছেন কিনা সেটাও খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।

আরও পড়ুন ::

Back to top button