জাতীয়

করোনার ভয় দেখিয়ে চক্রান্ত করছে মোদি সরকার, দাবি কৃষকদের

করোনার ভয় দেখিয়ে চক্রান্ত করছে মোদি সরকার, দাবি কৃষকদের - West Bengal News 24

করোনা অতিমারি নিয়ে মোদি সরকার চক্রান্ত করছে। কৃষক আন্দোলনকে ব্যর্থ করতেই এই চক্রান্ত করা হচ্ছে। সংক্রমণ বাড়লেও তাকে আমল দিতে রাজি নন বিক্ষোভরত কৃষকরা।

কেন্দ্রের নয়া তিনটি কৃষি আইনের বিরুদ্ধে গত কয়েকমাস ধরে দিল্লি-হরিয়ানার সিঙ্ঘু সীমান্ত ও দিল্লি-উত্তরপ্রদেশের গাজিপুর সীমান্তে এখনও কৃষকরা রয়েছেন। সংক্রমণ হু হু করে বাড়লেও সিঙ্ঘু সীমান্তে কোভিড বিধি মানা হচ্ছে না। এমনকি করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থাও নেই। অন্যদিকে গাজিপুর সীমান্তে কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকে কৃষকদের মধ্যে মাস্ক বিতরণ করতে দেখা গেছে। কৃষকরা করোনা বিধি মানছেন না, অথচ প্রশাসনও নির্বিকার।

অবশ্য বিক্ষোভস্থলে এখন আগের মতো ভিড় নেই। কৃষকরা বলছেন, ‘‌গম চাষের মরসুম শুরু হয়েছে ১ মার্চ থেকে। চলবে ১ মে অবধি। তাই কৃষকদের ভিড় নেই। খুব শীঘ্রই সবাই হাজির হবে।’‌ কিন্তু ভিড় মানেই তো সংক্রমণ আরও ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা।

কৃষকরা বলছেন, ‘‌আমরা ভাইরাস নিয়ে চিন্তিত নই। আমরা প্রচন্ড ঠান্ডার পর এই গরমেও এখানে রয়েছি। আমরা শারীরিকভাবে শক্তিশালী। করোনা আমাদের কাবু করতে পারবে না।

করোনা শহুরে বড়লোকদের কাবু করবে। যারা এয়ারকন্ডিশন ছাড়া থাকতে পারেন না। ভাজাভুজি খেতে অভ্যস্ত। কিন্তু আমাদের করোনা নিয়ে ভয় নেই।’‌ আর এক কৃষকের কথায়, ‘‌ক্যান্সারে মানুষ মারা যায়।

কিংবা হার্টের বা অন্য অসুখেও তো মানুষ মারা যায়। এখন করোনা করোনা করা হচ্ছে। মোদিজি চিত্‍কার করছেন। যাতে আবার লকডাউন করতে পারেন।’‌ কৃষকদের দাবি, ‘‌বিক্ষোভস্থলে কেউ করোনা আক্রান্ত নন।

কারও ঠান্ডা লাগলে বা জ্বর হলে সামান্য প্যারাসিটামলেই কাজ হয়ে যাচ্ছে। কেউ করোনা পরীক্ষাও করাইনি। জানি মোদি সরকার করোনার অজুহাতে আমাদের বিক্ষোভ ভঙ্গ করতে চাইছে।’‌ এদিকে কৃষক নেতা রাকেশ টিকাইত ফের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ‘‌কার্ফু জারি করতে চাইছে সরকার। যাতে কৃষক আন্দোলন ভেস্তে যায়।

কিন্তু তাতে লাভ হবে না। আমাদের দাবি যতক্ষণ না মানা হবে, ততক্ষণ বিক্ষোভ চলবে। আর সরকার জোর জবরদস্তি করলে ১ ঘণ্টার মধ্যে জবাব দেওয়া হবে।’‌ এমনকি রাকেশ টিকাইত বলেছেন, ‘‌স্কুল বন্ধ করে শিশুদের শিক্ষার অধিকার কেড়ে নিচ্ছে সরকার।’‌ পাশাপাশি টিকাইত বলে দিয়েছেন, সরকার যদি বিক্ষোভরত কৃষকদের টিকাকরণ করতে চায়, তো করতে পারে। যাঁরা রাজি থাকবে, তাঁরা টিকা নেবে।

সূত্র: আজকাল

আরও পড়ুন ::

Back to top button