ঝাড়গ্রাম: করোনার দ্বিতীয় তরঙ্গে ঝাড়গ্রাম জেলায় প্রতিদিন লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। এই পরিস্থিতিতে করোনা আক্রান্ত পরিবারগুলির পাশে দাঁড়িয়েছে ‘রেড ভলান্টিয়ার’রা। এক ফোনেই আক্রান্তদের বাড়িতে তাঁরা খাবার, ওষুধ, কাঁচা আনাজ সহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পৌঁছে দিচ্ছেন।
সিপিআইয়ের ছাত্র সংগঠন ‘এআইএসএফ’ এবং যুব সংগঠন ‘এআইওয়াইএফ’-এর যৌথ উদ্যোগে জনা কুড়ি তরুণ-তরুণীরাই লাল স্বেচ্ছাসেবকের কাজ করছেন। এআইএসএফের রাজ্য সহ-সম্পাদক প্রতীক মৈত্র জানালেন, ঝাড়গ্রামে ফের করোনার প্রকোপ বাড়ায় আক্রান্ত পরিবারগুলিকে পরিষেবা দেওয়ার জন্য লাল স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী গড়া হয়েছে। পিপিই পরে স্বেচ্ছাসেবকরা পরিষেবা দিচ্ছেন।
এমন পরিষেবা পেয়ে খুশি করোনা আক্রান্তদের পরিজনেরা। প্রতীক জানাচ্ছেন, ফোন করলেই হাজির হয়ে যাচ্ছেন রেড ভলান্টিয়াররা। আক্রান্ত পরিবারগুলির বাড়িতে খাবার পৌঁছে দেওয়া, প্রয়োজনীয় ওষুধ পৌঁছে দেওয়ার কাজ করছেন দেবাশিস ভুঁই, সুমন জানা, অনুপ ঠাকুর, উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায়, পৌলমী দে-র মতো রেড ভলান্টিয়াররা।
গত বছর লকডাউনের সময় সিপিআইয়ের ছাত্র-যুব সংগঠনের উদ্যোগে জেলা জুড়ে বহু মানুষের কাছে বিনামূল্যে খাদ্যসামগ্রী ও ওষুধপত্র পৌঁছে দেওয়া হয়েছিল। গত বছর ঝাড়গ্রাম শ্রমজীবী ক্যান্টিনও চালু করা হয়। শ্রমজীবী মানুষজনদের জন্য নামমাত্র অনুদানে দুপুরের ভরপেট খাবার দেওয়ার ওই প্রকল্প ১৯৪ দিন ধরে চলছে।
প্রতীক বলেন, “রাজনীতি মানে কেবল সভা-মিছিল আর ভোট ভিক্ষা নয়। সব সময় মানুষের পাশে থাকাটা আমাদের রাজনৈতিক শিক্ষা। এটাই বামপন্থার আদর্শ।”