করোনাকালে স্বাস্থ্যকর্মী – চিকিত্সকরা পাবেন অতিরিক্ত এক মাসের বেতন অতিরিক্ত
নিজের পরিবার পরিজনকে ছেড়ে দিনরাত এক করে করোনার সঙ্গে লড়াই করে চলেছেন দেশের চিকিত্সক-স্বাস্থ্যকর্মীরা। এবার তাঁদের জন্য বড় ঘোষণা করল ঝাড়খন্ড সরকার। সোমবার ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন টুইটারে ঘোষণা করেন, সমস্ত চিকিত্সক, নার্সকে এক মাসের অতিরিক্ত বেতন দেওয়া হবে সে রাজ্যে। মূলত প্রথম সারির যোদ্ধাদের লড়াইকে সম্মান জানিয়েই এই সিদ্ধান্ত হেমন্ত-সরকারের।
টুইটারে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন লেখেন, ‘এই ভয়ঙ্কর সময়ে করোনা যোদ্ধারা দিনরাত এক করে লড়াই করছেন। সে কারণে রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে করোনার চিকিত্সায় যুক্ত ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মীদেরকে এক মাসের বেতন/সাম্মানিকের সমান অঙ্কের টাকা অতিরিক্ত দেওয়া হবে। সমস্ত করোনা যোদ্ধাকে আমার ধন্যবাদ।’
ঝাড়খন্ড এআইডিএস কন্ট্রোল সোসাইটি কর্মচারী সমিতির সাধারণ সম্পাদক রানা চন্দন সিং, যিনি বর্তমানে কোমিড -১৯ নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষার জন্য গুমলা জেলায় একটি ল্যাব টেকনিশিয়ান হিসাবে কাজ করছেন, তিনি বলেছিলেন যে গত তিন মাস ধরে আমাদের বেতন দেওয়া হয়নি।এই ঘোষণার কোনো মানে হয়না, যদি সংকটকালে টাকা না দেওয়া হয়। রাঁচি হাসপাতালের চিকিত্সকরা জানিয়েছেন গত ৬ মাস বেতন দেওয়া হয় না।এই ঘোষণা তখনই সুখদায়ক হবে, যখন বকেয়া বেতন দেওয়া হবে।
ঝাড়খন্ডে গত ২৪ ঘণ্টায় ৫ হাজার ৯০৩ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। সে রাজ্যে এখনও পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২লক্ষ ১ হাজার ৭৪৭ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমিত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ১০৩ জনের।বর্তমানে রাঁচি হাসপাতাল থেকেও অক্সিজেনের ঘাটতির খবর আসছে।হাসপাতালের ডেপুটি মেডিক্যাল সুপারিনটেনডেন্ট সব্যসাচী মণ্ডল জানিয়েছেন, প্রতি শিফটে ৩০ জন রোগীর জন্য ২ জন চিকিত্সক রয়েছেন। যে পরিমান অক্সিজেনের প্রয়োজন তার অর্ধেক পাওয়া যাচ্ছে। অক্সিজেন দিতে না পারলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হচ্ছে। যেটা সরকারের দেখা উচিত।
সুত্র : কলকাতা ২৪x৭