ঝাড়গ্রাম

ঝাড়গ্রামে করোনায় পরপর মৃত্যু, পুর-স্বাস্থ্যকর্মীর মৃত্যু শ্বাসকষ্টে

স্বপ্নীল মজুমদার

Jhargram Latest News : ঝাড়গ্রামে করোনায় পরপর মৃত্যু, পুর-স্বাস্থ্যকর্মীর মৃত্যু শ্বাসকষ্টে - West Bengal News 24

ঝাড়গ্রাম: করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে ঝাড়গ্রাম জেলায় একের পর এক আক্রান্তের মৃত্যু হচ্ছে। তবে চিকিৎসকদের বক্তব্য, জ্বর, সর্দি, কাশির উপসর্গ থাকা সত্ত্বেও অসুস্থরা সময়মতো করোনা পরীক্ষা করাচ্ছেন না। যার ফলে উপযুক্ত চিকিৎসা শুরুর আগেই আক্রান্তদের মৃত্যু হচ্ছে।

মঙ্গলবার ঝাড়গ্রাম করোনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক বৃদ্ধ চিকিৎসকের মৃত্যু হয়। শ্যামল সরকার (৭২) নামে ওই চিকিৎসককে সোমবার বিকেলে করোনা পরীক্ষা করিয়ে রিপোর্ট পজিটিভ হওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। শ্যমলবাবু ঝাড়গ্রাম শহরের বলরামডিহি এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। চিকিৎসক হিসেবে সুপরিচিত ছিলেন। বিনপুরের চেম্বারে রোগী দেখতেন।

গত ৯ এপ্রিল স্ত্রীকে নিয়ে কাশ্মীরে বেড়াতে গিয়েছিলেন। ফিরে জ্বর-সর্দিতে আক্রান্ত হন। কিন্তু করোনা পরীক্ষা করাননি। বাড়িতেই ছিলেন। এক বেসরকারি চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ খাচ্ছিলেন। বাড়িতেই অক্সিজেন নিচ্ছিলেন। সোমবার বিকেলে প্রবল শ্বাসকষ্ট শুরু হওয়ায় তাঁকে ঝাড়গ্রাম হাসপাতালের এআরআই ক্লিনিকে নিয়ে যান বাড়ির লোকেরা। করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ হওয়ায় করোনা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। ভেন্টিলেটরে রাখা হলেও শেষরক্ষা হয়নি।

এদিকে মঙ্গলবার করোনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বেলিয়াবেড়া থানার ধডাংরি গ্রামের নগেন দণ্ডপাটের (৬৫) মৃত্যু হয়। ঘাটশিলার মৌভাণ্ডারের সুমিত্রা গড়াই (৪৫) নামে এক মহিলারও মৃত্যু হয়। বুধবার সকালে গোপীবল্লভপুরের বাসিন্দা এবং ঝাড়গ্রাম শহরের রঘুনাথপুরের বাসিন্দা দু’জন বৃদ্ধের মৃত্যু হয় করোনা হাসপাতালে।

এদিনই সন্ধ্যায় ঝাড়গ্রাম জেলা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মী দেবাশিস বসুর (৪৮) মৃত্যু হয় প্রবল শ্বাসকষ্টে। করোনার র‍্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টে দেবাশিসের রিপোর্ট নেগেটিভ হলেও তাঁর উপসর্গ নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন তাঁর ঘনিষ্ঠজন। শ্যমলবাবুর সঙ্গে দেবাশিসও সপরিবারে কাশ্মীর বেড়াতে গিয়েছিলেন। বাড়ি ফিরে তিনিও অসুস্থ হয়ে পড়েন।

আরও পড়ুন ::

Back to top button