রাজ্য

প্রার্থী না হয়েও যেভাবে জিতলেন ভাইপো অভিষেক

প্রার্থী না হয়েও যেভাবে জিতলেন ভাইপো অভিষেক - West Bengal News 24

বিজেপির বড় বড় প্রার্থীদের বিরুদ্ধে হাত ধরাধরি করে লড়াই করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল নেত্রীর সঙ্গী হয়ে, প্রার্থী না হয়েও দলের জন্য বিপুল ‘জয়’ ছিনিয়ে এনেছেন তিনি।

পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনে দলের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ছাড়াও কেন্দ্রের প্রায় পুরো মন্ত্রিসভাকেই ভোটের ময়দানে নামিয়ে দিয়েছিল বিজেপি। সঙ্গে ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যাওয়া শুভেন্দু অধিকারী ব্রিগেডও। এর ঠিক বিপরীতে ছিলেন মমতা ও অভিষেক।

ভোট প্রচারে নেমে দুর্নীতি ইস্যুতে অভিষেককেই লক্ষ্য করেছিলেন বিজেপির নেতারা। একের পর এক অভিযোগের তীর ছুড়েছিলেন অভিষেকের দিকে। ঘটনাচক্রে এই ভোটপর্বেই অভিষেকের স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কয়লাকাণ্ডে নোটিশ পাঠায় কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা (সিবিআই)। তার বাড়িতে অভিযান চালায় সিবিআইয়ের কর্মকর্তারা।

কিন্তু একের পর এক ‘চাপ’ সহ্য করে ঠাণ্ডা মাথায় নির্বাচন প্রচার চালিয়ে গিয়েছেন ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল সাংসদ। যার ফল মিলেছে হাতেনাতে। অভিষেকের গড় দক্ষিণ ২৪ পরগনার ৩১টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে কেবলমাত্র ভাঙড়ে জয় পেয়েছেন সংযুক্ত মোর্চা সমর্থিত ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট (আইএসএফ)-এর নওশাদ সিদ্দিকি। বাকি ৩০টি আসনই গিয়েছে জোড়াফুল শিবিরের দখলে।

বঙ্গযুদ্ধের প্রতিপর্বে বিজেপি যেখানে একের পর এক তারকা প্রচারককে লড়াইয়ে নামিয়েছে, সেখানে তৃণমূলের প্রচারের মুখ দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক। বস্তুত দলের তারকা প্রচারক ছিলেন তারা দুজনেই। মমতার মতোই উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গ- রাজ্যের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত ছুটে বেড়িয়েছেন অভিষেক। তৃণমূলের এই কৌশল যে বিজেপিকে টেক্কা দিয়েছে তা ফলাফলেই বোঝা যাচ্ছে।

সূত্র: আনন্দবাজার

আরও পড়ুন ::

Back to top button