জাতীয়

দেশে অক্সিজেন সংকট মেটাতে আকাশ পথে অক্সিজেন সরবরাহ করছে বায়ুসেনা

দেশে অক্সিজেন সংকট মেটাতে আকাশ পথে অক্সিজেন সরবরাহ করছে বায়ুসেনা - West Bengal News 24

ভারতীয় বিমান বাহিনী এই করোনা পরিস্থিতির মধ্যে কাজ করে চলেছে। তারা ১৮০টি ফাঁকা ক্রাইয়োজেনিক অক্সিজেন সিলিন্ডার বিভিন্ন স্থানে চাহিদা মতো পাঠিয়েছে।

আইএএফ এই কাজের জন্য বহু এমন বিমান পাঠিয়েছে। সেগুলি অক্সিজেন প্ল্যান্ট, কন্টেনার নিয়ে যাওয়ার কাজ করছে। এই তালিকায় রয়েছে আটটি C-17, চারটি IL-76, ১০টি C-130, ২০ টি An-32 এয়ারক্রাফট এবং Mi-17V5। চিনুক হেলিকপ্টারও এই কাজ করছে। এগুলি গত ৩৬০ ঘন্টা ধরে আকাশ পথে উড়ে এই কাজ করে চলেছে।

C-17 আটটি ক্রায়োজেনিক অক্সিজেন কন্টেনার হায়দরাবাদ থেকে ভুবনেশ্বরে নিয়ে গিয়েছে। দুটো নিয়ে গিয়েছে বিজয়ওয়ারা থেকে ভুবনেশ্বরে। ইয়ালাহঙ্কা থেকে ভুবনেশ্বরে গিয়েছে কয়েকটি কন্টেনার। দুটো গিয়েছে ভোপাল থেকে রাঁচিতে। দুটো গিয়েছে হিন্দন থেকে ভুবনেশ্বরে।

ইউনাইটেড কিংডম থেকে ৪৫০টি অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে আসা হয়েছে চেন্নাইতে। মঙ্গলবার গ্লোবমাস্টার থ্রি বিমানটি সকাল সাড়ে এগারোটা নাগাদ ৩৭ টন অক্সিজেন নিয়ে এসেছে পৌঁছায়। মাত্র দুবার দাঁড়িয়েছিল এই বিমান। দাঁড়িয়েছিল ব্রেইজ নর্টন ও কায়রোতে।জার্মানির ফ্র্যাঙ্কফুর্ট থেকেও এমন একটি ভারতীয় সেনার বিমান আসে দিল্লিতে।

গত শুক্রবার থেকেই এই কাজ করছে বায়ুসেনার, সি-১৭ বা C-17 এবং আইএল-৭৬ বা IL-76। সামরিক মালবাহী বিমানগুলিকে দেখা ফিলিং স্টেশন থেকে বিভিন্ন শহরে অক্সিজেন ট্যাঙ্কার নিয়ে উড়ে যেতে দেখা যায়।

ফিরতি পথে ফাঁকা ট্যাঙ্কার তারা পৌঁছে দিচ্ছিল ফিলিং স্টেশনগুলিতে। সেনা বাহিনী জানিয়েছে, তারা এই দায়িত্ব নিয়েছে, কারণ আকাশ পথে গেলে অনেক দ্রুত ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে রাজ্যে অক্সিজেন পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হবে। এর ফলে ভারতে যে অক্সিজেন সংকট তৈরি হয়েছে, তার সুরাহা হবে বলেই আশা করছে কেন্দ্র এবং সেনা।

মহারাষ্ট্র সরকার কয়েকদিন আগেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন, করোনা ভাইরাসের তৃতীয় তরঙ্গ দ্রুত ভারতে আছড়ে পড়বে। এবার সেই আশঙ্কাকে সিলমোহর দিল অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্সেসের প্রধান রণদীপ গুলেরিয়া। তিনি করোনা ভাইরাসের উত্তরোত্তর বৃদ্ধি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, এই মারণ ভাইরাস করোনা যেভাবে নিজের বৈশিষ্ট পাল্টাচ্ছে তাতে ভারত দ্রুত করোনা ভাইরাসের তৃতীয় তরঙ্গের সম্মুখীন হবে। কিছু রাজ্য নাইট কারফিউ, সপ্তাহান্তে লকডাউন ঘোষণা করেছে। যাকে তিনি একেবারেই প্রত্যাখ্যান করেছেন।

তিনি করোনা ভাইরাসের শৃঙ্খল ভাঙতে কিছু সময়ের জন্যে লকডাউনের কথা বলেছেন। এদিন এইমস প্রধান তিনটি বিষয় লক্ষ্য রাখার কথা বলেন। প্রথমটি হ’ল হাসপাতালের পরিকাঠামোগত উন্নয়ন। দ্বিতীয়, দ্রুত করোনা আক্রান্তের সংখ্যা কমাতে হবে। তৃতীয়, টিকাকরণ। আমাদের সংক্রমণের চেইন ভাঙতে হবে। যদি আমরা মানুষের মধ্যে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ হ্রাস করতে পারি তবে সেটা সম্ভব। তার পরেই আক্রান্তের সংখ্যা কমানো সম্ভব।

এইমস প্রধান বলেন, যুক্তরাজ্যের মত রাজ্যের চাহিদা অনুযায়ী অঞ্চলভিত্তিক লকডাউন করতে পারি। যারা প্রশাসনে আছে তাদের এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। দিন মজুর, শ্রমিকরা আছেন। জরুরিভিত্তিক পরিষেবা বজায় রাখতে হবে। তবে লকডাউন যেন কঠোরভাবে পালন করা হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। আমরা সম্ভবত তৃতীয় তরঙ্গ দেখতে পাবো। একটা স্বস্তির বয়স তখন আমাদের টিকাকরণ প্রায় সম্পূর্ণ হবে। হয়ত দ্বিতীয় তরঙ্গের মত বৃহত্‍ হবে না। খুব সহজেই পরিচালনা করা যাবে। তিনি আরও বলেন ভারতে যে ডবল মিউট্যান্ট ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গিয়েছে তা গতবারের থেকে অনেক মারাত্মক।

সূত্র : কলকাতা ২৪x৭

আরও পড়ুন ::

Back to top button