করোনায় মৃত্যু বাবার! শোকে বাবার জ্বলন্ত চিতায় ঝাঁপ মেয়ের
করোনার গ্রাস থেকে মিলছে না রেহাই। এদেশে রোজ হাজার তিনেকের বেশি প্রাণ কাড়ছে মারণ ভাইরাস। আর চলে যাওয়া মানুষগুলো রেখে যাচ্ছে হাহাকার। এই করোনায় মৃত্যুরই এক ভয়াবহ নজির এদিন সামনে এল রাজস্থানে।
কোভিডে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন দামোদরদাস শারদা (৭৩)। মঙ্গলবারই তাঁর মৃতদেহ সত্কারের জন্য নিয়ে আসা হয় শ্মশানে। শেষ যাত্রায় তাঁর সঙ্গে হাজির ছিলেন তাঁর তিন মেয়ে। কিন্তু বিপত্তি ঘটে তখনই। বাবার মৃতদেহ সত্কারের সময় নিজেকে আর সামলে রাখতে পারেননি বছর ৩৪-এর চন্দ্রা শারদা।
শোকে দিকবিদিক জ্ঞান হারিয়ে জ্বলন্ত চিতার উপরেই তাই লাফিয়ে পড়ে সে। ঝলসে যায় দেহের একাংশ। মৃতের তিন মেয়ের মধ্যে তিনিই ছিলেন সবচেয়ে ছোট। ঘটনাটি ঘটেছে রাজস্থানের বার্মার জেলায়। পুলিশ জানিয়েছে, বাবার মৃতদেহ পুড়তে দেখে তা সহ্য করতে পারেননি চন্দ্রা। তাই হঠাত্ই চিতার আগুনে ঝাঁপিয়ে পড়েন তিনি। আশেপাশের লোকজন সঙ্গে সঙ্গেই অবশ্য তাঁকে তুলে আনেন।
কিন্তু ততক্ষণে গুরূতর জখম হয়েছেন চন্দ্রা। আগুনে ঝলসে গেছে তাঁর দেহের ৭০ শতাংশই। ঘটনার পর ওই মহিলাকে প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে যোধপুরে চিকিত্সার জন্য পাঠানো হয় তাঁকে। কোতোয়ালী থানার অফিসার প্রেম প্রকাশ জানিয়েছেন, ‘দামোদরদাসের তিন মেয়ে। কিছুদিন আগেই তাঁদের মা-ও মারা যান। ছোটো মেয়েটি বাবার চিতার আগুনে ঝাঁপ দিয়েছে।
শ্মশানে আসতে তাঁকে বারণও করা হয়েছিল বলে খবর। কিন্তু পুলিশের কথায়, চন্দ্রা শারদা জোর করেই বাবার শেষ যাত্রায় সামিল হতে চেয়েছিলেন। এই ঘটনায় স্বভাবতই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। মহিলার অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল, জানিয়েছেন চিকিত্সকরা।
সূত্র : দ্য ওয়াল