দিল্লিতে এই প্রথম দৈনিক সংক্রমণের হার কমে ২০%-র নীচে
গোটা ভারতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে করোনা ভাইরাস (Corona Virus)। তার মধ্যেও জাতীয় রাজধানী দিল্লির জন্যে রয়েছে স্বস্তির খবর। আসলে গত বেশ কয়েকটি দিন ধরে দিল্লিতে (Delhi) করোনা আক্রান্তের সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে। গত ২৮ দিন পর দিল্লির দৈনিক সংক্রমণ ১৩ হাজারের নিচে। গত ২৪ ঘন্টায় দিল্লিতে করোনা আক্রান্ত হয়েছে ১২ হাজার ৬৫১ জন। মৃত্যু হয়েছে ৩১৯ জনের।
সোমবার দিল্লির স্বাস্থ্য বিভাগ দ্বারা প্রকাশিত সর্বশেষ তথ্য অনুসারে, রাজধানীতে এখনও পর্যন্ত সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা ৮৫ হাজার ২৫৮ জন। সবচেয়ে স্বস্তির কথা হ’ল দিল্লিতে টানা ২৫ দিন পর, আক্রান্তের হার ২০ শতাংশে নেমে এসেছে। শেষবার ১৪ এপ্রিল, আক্রান্তের হার কমে ছিল ১৫.৯২ শতাংশ, যা পরের ১৫ এপ্রিল থেকে প্রতিনিয়ত বাড়তে শুরু করে। স্বাস্থ্য বিভাগের শেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘন্টায় করোনাকে জয় করে সুস্থ হয়েছে ১৩ হাজার ৩০৬ জন। তবেএখন পর্যন্ত মোট আক্রান্ত হয়েছে ১২ লক্ষ ৩১ হাজার ২৯৭ জন। করোনার বলি হয়েছে ১৯ হাজার ৬৬৩ জন। বর্তমানে রাজধানীতে কন্টেন্টমেন্ট জোনের সংখ্যা ৫৪ হাজার ২৫৬ টি ।
কোনওরকম ঝুঁকি না নিয়ে শেষ পর্যন্ত আরও কঠোর বিধিনিষেধ জারি করেছে দিল্লির অরবিন্দ কেজরীওয়াল সরকার। সংক্রমণ ঠেকাতে আরও এক সপ্তাহ লকডাউনের (Delhi Lockdown) সিদ্ধান্ত নিয়েছে দিল্লি সরকার। রবিবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal) আরও এক সপ্তাহ লকডাউন বাড়িয়ে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন। এবারের লকডাউন আরও কড়া ও কঠোর করা হবে বলেও জানানো হয়েছে। মেট্রো পরিষেবা সম্পূর্ণ বন্ধ রাখা হবে রাজধানীতে। আগামী ১৭ মে সকাল ৫টা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে লকডাউন।
প্রসঙ্গত, ৩০০ ভ্যাকসিনেশন সেন্টারের পাশাপাশি তিন মাসের মধ্যে গণটিকাকরণের কাজ শেষ করতে চায় দিল্লি সরকার। কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ইতিমধ্যেই ৪০ লাখ ভ্যাকসিন পেয়েছে দিল্লি। যদিও সবাইকে টিকা দিতে আরও ২ কোটি ৬০ লাখ ভ্যাকসিন প্রয়োজন বলে জানিয়েছে কেজরিওয়াল সরকার।
সূত্র: কলকাতা ২৪x৭