‘সবাই টিকা পাবেন, হাসপাতালে ভিড় করবেন না’ : মুখ্যসচিব
টিকা নিয়ে হাহাকার গোটা রাজ্যে। অনেকেই অভিযোগ করছেন, প্রথম ডোজ পেলেও দ্বিতীয় ডোজ পাচ্ছেন না। ৪৫ বছরের নীচে যে টিকা পাওয়ার কথা ছিল, সেও প্রায় কেউই পাননি। কোনও কোনও জায়গায় রাতভর লাইন দিয়ে তবে সকালে টিকা পাচ্ছেন কয়েক জন।
এই অবস্থায় টিকা পাওয়া নিয়ে আতঙ্কিত না হওয়ার আবেদন জানালেন রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ, সোমবার মন্ত্রিসভার শপথগ্রহণের পরে নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করেন মুখ্যসচিব। মূলত টিকাকরণ ও করোনা প্রতিরোধে রাজ্যের উদ্যোগ নিয়ে কথাবলেন তিনি। এদিন বিকেলে আলাপনবাবু বলেন, ‘আমাদের হাতে যা টিকা এসে পৌঁছেছে তা দিয়ে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার চেষ্টা চলছে। অযথা আতঙ্কিত হয়ে হাসপাতালে ভিড় বাড়ানোর দরকার নেই।’
রেমডেসিভির-সহ অন্য কোভিড চিকিত্সার ওষুধের কালোবাজারি নিয়েও এদিন সতর্ক করেন তিনি। অক্সিজেনের সরবরাহ পর্যাপ্ত করতে সরকারি উদ্যোগের কথাও জানান। ১৮ ঊর্ধ্বদের টিকাদান নিয়েও অবস্থান স্পষ্ট করেন মুখ্য সচিব। তিনি বলেছেন, ৪৫ বছরের নীচে যাঁরা তাঁদের টিকা দেওয়া নিয়েও কথা বলেন আলাপন, জানান, কেন্দ্রের টিকা সরবারহের জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে। ভ্যাকসিনের বরাত দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি। এদিকে আজ সোমবার বিকেলে প্রায় সাড়ে ৭ লক্ষ কোভিশিল্ড এসে পৌঁছেছে রাজ্যে।
বিমানবন্দর থেকে সেই টিকা নিয়ে যাওয়া হয়েছে বাগবাজার স্টোরে। টিকা নিয়ে এদিন একই বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেও। এদিন মন্ত্রিসভার শপথের পরে সাংবাদিক বৈঠকে টিকার জোগান নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে খোঁচা দেন তিনি। তিনি বলেন, ”কেন্দ্রীয় সরকার টাকাপয়সা দিয়ে সাহায্য করছে না। পর্যাপ্ত টিকা দিয়ে সাহায্য করছে না। ৩ কোটি টিকা চেয়ে পেয়েছি মাত্র ১ লক্ষ। ৩০ হাজার কোটি টাকা খরচা করে সরকার টিকা দিতে পারে। কেন দিচ্ছে না সেটা জানি না।’ পাশাপাশি, পর্যাপ্ত টিকা পেলে রাজ্যের সকলকে বিনামূল্যে টিকা দেওয়া হবে বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী।
সূত্র: দ্য ওয়াল